লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu) মেয়ে এবং ছেলের একাধিক বাড়ি ও সম্পত্তিতে হানা দিল ইডি।
একাধিক জায়গায় একযোগে চলা এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে লাখ লাখ নগদ টাকা এবং কেজি কেজি সোনা।
জানা গিয়েছে, লালুর তিন মেয়ে রাগিনি, চন্দা এবং হেমার বাড়িতে গতকাল হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের কর্তারা।
পাশাপাশি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতেও হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা।
তাছাড়া লালু ঘনিষ্ঠ আরজেডির প্রাক্তন আবু দোজানার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি, রাঁচি, মুম্বই, পটনা সহ মোট ২৪টি স্থানে এই অভিযান চালানো হয়।
এই অভিযানে মোট ৭০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া ৯০০ মার্কিন ডলারও উদ্ধার হয়েছে।
তাছাড়া দেড় কেজি সোনার গয়না এবং ৫৪০ গ্রাম সোনার কয়েন উদ্ধার হয়েছে। জমির বদলে রেলের চাকরি কেলেঙ্কারির যোগেই এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা জিতেন্দ্র যাদবের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। উল্লেখ্য, জিতেন্দ্র লালু (Lalu) কন্যা রাগিনির স্বামী।
এদিকে জমির বদলে রেলের চাকরি মামলায় হোলির আগে পরপর
দু’দিন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জেরা করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
এর আগে গতবছর মে ও অগস্ট মাসে লালু-পুত্র তথা বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের মালিকানাধীন গুরুগ্রামের একটি
নির্মাণাধীন মল সহ দিল্লি, গুরুগ্রাম, পটনা, কাটিহার এবং মধুবনির সহ মোট ২৫টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।
সেই সময় অবশ্য কোনও অর্থ উদ্ধার বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর ঘটনা ঘটেনি। তবে এবার বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ এবং সোনার গয়না উদ্ধার করল ইডি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং আরও ১৪ জনকে নোটিস পাঠিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট।
বিশেষ বিচারপতি গীতাঞ্জলি গোয়েল নির্দেশ দিয়েছিলেন যে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সকলকে আগামী ১৫ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
এর আগেই কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা লালু ও রাবড়িকে জেরা করেন। এরপর শুক্রবার তেজস্বী এবং লালুর মেয়েদের বাড়িতে হানা দিলেন ইডি কর্তারা।