মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্ক প্রসূত প্রকল্প দুয়ারে সরকার তেমনই দুয়ারে ডাক্তার পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হলো প্রশাসন। বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় শনিবার দেগঙ্গার কলসুর পঞ্চায়েতের কামদেবকাটি গ্রামে ‘দুয়ারে ডাক্তার ‘ কর্মসূচির সূচনা করলেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (kakoli Ghosh Dastidar)।সাংসদ ছাড়াও এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শরৎ কুমার ত্রিবেদী,দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি (মিন্টু ),পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান (বিদেশ ) সহ বিশিষ্ট জনেরা।চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন বারাসাত মেডিকেল কলেজের অ্যাডিশনাল সুপারেন্ডেন সুব্রত মন্ডল, শল্যচিকিৎসক ডাঃ নিলয় নারায়ণ সরকার, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ কল্যাণ পাল,ম্যাক্সিলফেসিয়াল সার্জেন ডাঃ স্মরণজিৎ চৌধুরী, অঙ্কলজিস্ট ডাঃ রাজেশ সিকদার, অর্থপেডিক্স সার্জেন ডাঃ সেলিম শেখ জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ পীযূষ সরকার,মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুশান্ত চক্রবর্তী সহ প্রমুখ।

ডাঃ কাকলি ঘোষদোস্তিদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে দুয়ারে ডাক্তার পরিকল্পনাটা পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে পালন করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত এইসব প্রকল্প গুলি অনবদ্য।ভারতবর্ষে শুধু না সারা পৃথিবীতে এমন ব্যবস্থা আছে বলে জানা নেই।এখানে আজ প্রায় ৮০০ জন মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হলো।আমি নিজেও কিছু রোগীকে দেখলাম।”

অন্যদিকে জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী বলেন,-“এর আগে বসিরহাটে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এবার এখানে অনুষ্ঠিত হলো। প্রান্তিক যত মানুষ আছেন তারা যাতে সুস্থ স্বাভাবিক মেডিক্যাল পরিষেবা পান, সেটাই চেষ্টা করবো আমরা।” ডাঃ সুব্রত মন্ডল বলেন,-“অনেকসময় কি হয়, অনেক রোগী দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন, সেক্ষেত্রে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিপাকে পড়তে হয়। এই প্রকল্প সেই অসুবিধা থেকে অনেকটাই নির্মূল করবে মানুষদের।”এখানে আসার সকল চিকিৎসককে আমি আমার তরফ থেকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

আরো পড়ুন:Government office : এবার থেকে দুবেলা অ্যাটেনডেন্স কর্মচারীদের