ডিএ (DA)- সহ একাধিক দাবি আদায়ে শুক্রবার অর্থাত্ ১০ মার্চ রাজ্য সরকারের সব দফতরে ধর্মঘট (Strike) ডেকেছে সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। যা আটকাতে মরিয়া নবান্ন।
আগামিকালের বনধ নিয়ে সতর্ক নবান্ন। ধর্মঘট নিয়ে এদিন কয়েক দফায় বৈঠক করে নবান্নের শীর্ষ মহল।
এরপরই এদিন জরুরি ভিত্তিতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে ডাকেন।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই বন্ধ নিয়ে প্রত্যেক জেলাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘট ঠেকাতে বৃহস্পতিবার কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি কড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সকলকে সঠিক সময়ে যেতে হবে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য দফতরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
যথার্থ কারণ ছাড়া কেউ কাজে অনুপস্থিত থাকলে, এক দিনের বেতন কাটা যাবে। সেই সঙ্গে ছেদ পড়বে কর্মজীবনের একটি দিন।
এদিনের বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের সতর্ক করে বলেন আগামিকালের বনধ (Strike) নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর দিতে হবে। বনধ মোকাবিলা করতে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজকের এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার-সহ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরাও।
নবান্ন সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে পুলিশকেও সব রকমের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যসচিব। যদিও এই বৈঠক চলাকালীন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, আগামিকাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ডিএ ইস্যুতে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন বামেরা।
মনে করা হচ্ছে, ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে সরকারি দফতর, স্কুল-কলেজগুলিতে।
এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই, নবান্নের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও আগামিকাল থেকে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিতরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
উত্তরপত্র বিতরণ করার প্রক্রিয়াতে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বা অনুপস্থিতি না হয়, তার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা গতকালই দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।