প্রথম এস.এল.এস.টি (SLST) ২০১৬-র নবম-দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ স্তরে মেরিট লিস্টে প্রাপ্য চাকরি পরীক্ষার্থীদের অনশনের আজ ৭২৫ তম দিন এবং তার পাশাপাশি আজ হোলি ও আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস। আর এই দিনেই এস.এল.এস.টি চাকরি পরীক্ষার্থীরা শিয়ালদা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত একটি মিছিল করে। যেখানে কিছু পরীক্ষার্থী দন্ডি কাটতে কাটতেও শিয়ালদা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত যান। পাশাপাশি সরকারকে কুম্ভকর্ণ আখ্যানও দেন তারা।

বুধবার কালো পোশাক পরে তাঁরা কলকাতার রাজপথে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। দীর্ঘ মিছিল করে তাঁরা শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা মেয়ো রোড পর্যন্ত হাঁটেন। তাঁদের প্রশ্ন কবে সরকারের ঘুম ভাঙবে? এদিন একজন চাকরিপ্রার্থী কুম্ভকর্ণ সাজেন। তাঁর সামনে কাসর, ঘণ্টা বাজান অন্যান্য়রা। তার ওপরে লেখা রয়েছে কুম্ভকর্ণ সরকার। এবার তো ঘুম থেকে ওঠো। কার্যত সরকারকে কটাক্ষ করতেই এই ধরনের কুম্ভকর্ণ সেজেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। অন্যান্যরা বার বার কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে প্রতীকী কুম্ভকর্ণকে জাগানোর চেষ্টা করেন।

এরপর রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা দন্ডী কাটতে শুরু করেন। মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, দিনের পর দিন ধরে আমরা রাজপথে বসে রয়েছি। তবুও সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা বাড়তি কিছু চাইছি না। আমরা শুধু চাকরিটা চাইছি। নারী দিবসে আমরা কলকাতার রাজপথে দন্ডী কাটতে বাধ্য হলাম।

এর সঙ্গেই এদিন পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা রাজপথে হামাগুড়ি দেন। এদিন অনেকের চোখেই জল। তাঁদের একটাই কথা, কবে ঘুম ভাঙবে সরকারের? এদিন প্রতীকী শবদেহ করা হয়েছিল। সেখানে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী আপনিও নারী। এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা লজ্জিত। আদৌ, এ বিষয়ে সরকারের কোনোদিন ঘুম ভাঙ্গবে কিনা তার উত্তর কারোরই জানা নেই।

এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ৭২৫দিন ধরে আমরা রাস্তায় রয়েছি। এই রঙের দিনে আমাদের মনে কোনও আনন্দ নেই। আমরা রঙহীন।আমাদের নিয়োগের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য আমরা এভাবে রাস্তায় বসে থাকতে বাধ্য হয়েছি। সেই মন্ত্রিসভার মাথায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপনি সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। আপনিও সমানভাবে দায়ী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকর্মের প্রায়শ্চিত্ত আমাদের দিয়ে করাবেন না। এর দায় আপনাকে নিতে হবে। সরাসরি এভাবেই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে নিশানা করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, সংখ্যালঘুদের মিথ্যা তোষণ করবেন না, এবার নিয়োগ দিন।

 

আরো পড়ুন:Barasat:বারাসাত হাসপাতালের তদারকিতে বিশ্ব আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক মা তার শিশুকে পেলো ফিরে