টলিউড ইন্ডাস্ট্রির দুই নামজাদা তারকা প্রসেনজিৎ এবং চিরঞ্জিত। দুজনেই সারা কেরিয়ারে একে অপরকে টক্কর দিয়ে এসেছেন। দুজনের ঝুলিতেই অসংখ্য হিট ছবি। কিন্তু তাও তাদের মধ্যে রেষারেষির কোনো কমতি নেই।

চিরঞ্জিত বরাবরই স্পষ্ট বক্তা। তিনি মনে যা ভাবেন তা মুখে বলতেও দুবার ভাবেন না। আর এবারও তাই, আবারও প্রসেনজিৎকে কটাক্ষ করলেন চিরঞ্জিত (Chiranjeet Chakraborty)।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিত বলেছেন, ‘আমি জনতাকে খুব ভালো বুঝি। আমি জানি কমার্শিয়াল সেট-আপের কোন ছবি হিট হবে’। চিরঞ্জিত জানান, মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মতো পরিচালকরা দুর্দান্ত সিনেমা বানিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কমার্শিয়্যাল ছবি বানাতে পারেননি। অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি সাহস নিয়ে মৃণাল সেনকে মুখের উপর বলেছিলাম আপনারা হয়ত ভাবেন চাইলেই কমার্শিয়াল ছবি বানাতে পারবেন কিন্তু সেটা পারবেন না’।

আজকের দিনের পরিচালকের কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তারকা বিধায়কের কথায়, ‘কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় চেষ্টা করছে ভীষণভাবে কমার্শিয়াল কিছু করার। তাতে কী হচ্ছে একটা আধখ্যাঁচড়া ছবি হয়ে যাচ্ছে। আর্টের সঙ্গে মিশিয়ে একটা খিচুড়ি হচ্ছে, যা ফলে সেটা আর ছবি লাগছে না।

ও যখন ছবি করছে ‘শব্দ’ তখন সেটা খুব ভালো করছে। সেটা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে, কিন্তু লোকে দেখছে না। কৌশিক নিজে খুব সুন্দর পাঠ করে। ও চাইছে ঋত্বিক চক্রবর্তীকে। তাকে নিয়ে সুন্দর ছবি করছে। ও তৈরিও করছে তার জন্য ঋত্বিককে। কিন্তু, যেই ও ঋত্বিককে না নিয়ে অন্য কাউকে নিচ্ছে তখনই সেটা কমার্শিয়াল সেট আপের ছবি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

এরপর চিরঞ্জিতের (Chiranjeet Chakraborty) সংযোজন, ‘কৌশিক যেই পাশে প্রসেনজিৎকে নিয়ে নিচ্ছে ফিনান্সের জন্য। কারণ, ফিন্যান্স ও পাচ্ছে না। প্রসেনজিৎ ফিনান্স দিতে পারে। এটাই হচ্ছে বড় সুবিধা। সেজন্য ওঁকে নিয়ে ছবি করার একটা সুবিধাও আছে। এক্ষেত্রে আমায় নিয়ে ছবি করার সেই সুবিধা নেই।

কারণ, আমি কাউকে ফিনান্স দিচ্ছি না। সেখানেই কিন্তু ছবিটা ফেল করছে।… খুব শক্ত কাজ’।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একাই ‘ইন্ডাস্ট্রি’, এই কথা শুনে ক্ষেপে উঠেছিলেন চিরঞ্জিৎ। আর তারপরেই তাকে বারবার কটাক্ষ করেছিলেন চিরঞ্জিত। প্রতিবাদের সুরে জানিয়েছিলেন, ‘৩০ বছর বুম্বা একা ইন্ডাস্ট্রি টানলে মিঠুন, ভিক্টর, তাপস, অভিষেক আর আমি কি পার্শ্ব অভিনেতা?’

দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে নিজের উপলব্ধি নিয়ে সন্তুষ্ট চিরঞ্জিৎ। তাঁর কথায়, ‘চিরঞ্জিৎ-কে পুরোপুরি মানুষ চেনে না। আমি এক্সাটলি কী কেউ জানে না। আমি আজীবন মানুষের কাছ থেকে সম্মান চেয়েছি, সেটা পেয়েছি। আমাকে সিবিআই, ইডি খোঁজে না। সেটাই বড় প্রাপ্তি আমার’।

আরো পড়ুন: Ritabhari Chakraborty: রঙ মেখে দোলের শুভেচ্ছা জানালেন আবির ও ঋতাভরী

By Torsha