সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হেরেছে তৃণমূল (TMC)। আর তারপর থেকেই একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি রাজ্যের সংখ্যালঘুদের গণভিত্তিতে কোনোরকম চিড় ধরেছে?সাগরদিঘি উপনির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।এবার ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ বা এফএসডি এর নতুন কমিটির মাথায় আর রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে রাখা হলো না।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে নতুন এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অতীতে ফুরফুরার সঙ্গে তৃণমূলের তরফে সমন্বয় রাখতেন মুকুল রায়। সেসব বহুদিন আগেই অতীত হয়ে গিয়েছে। ফুরফুরার পীরজাদাদের সমীকরণেও বদল এসেছে। আব্বাস সিদ্দিকির উঠে আসা, আইএসএফ তৈরি হওয়া, নওসাদ সিদ্দিকির বিধায়ক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এবং সবটাই ববির নেতৃত্বে এই কমিটি থাকাকালীন। যা দেখে অনেকে বলেছিলেন, মুকুল রায়ের মতো হিমশীতল মস্তিষ্ক নিয়ে ববি সামাল দিতে পারেননি।সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ববিকে ফের ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান না করা তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে, সংখ্যালঘুদের একাংশ কি অসন্তুষ্ট? তার জেরেই সোমবার মন্ত্রিসভার আলোচনায় উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। কোথায়, কী অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা জানতে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিনদের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই সবের মাঝেই এবার বদলে গেল ফুরফুরা শরিফের চেয়ারম্যান।

 

আরো পড়ুন:Kaustav Bagchi:সরকারি কর্মীদের ডিএ-ধর্নামঞ্চে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী