দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্য রাস্তায় খুন করা হয়েছিল বিএসপি বিধায়কের (BSP MLA) খুনের মামলায় প্রত্যক্ষদর্শীকে। এবার ওই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে (Encounter) খুন করল পুলিশ।ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের।
২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ পাল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছিলেন উমেশ। জীবনহানির আশঙ্কায় প্রশাসন দু’জন পুলিশকর্মীকে উমেশের দেহরক্ষী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় বসপা বিধায়ক রাজু পালের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী উমেশ পাল। গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ঢোকার মুখেই ছয় দুষ্কৃতী তাঁকে এবং তাঁর দেহরক্ষীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। মাত্র ৪৫ সেকেন্ডেই শেষ হয় অভিযান। উমেশ পালের খুনের পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে রেয়াত করা হবে না।
গত সপ্তাহে প্রয়াগরাজের ধুমনগঞ্জে নেহরু পার্কে এনকাউন্টারে উমেশ হত্যাকান্ডে জড়িত আরবাজকে খতম করেছিল পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত বিজয় কুমার ওরফে উসমান চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন সাত সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাউন্দিয়ায় একটি গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিশের বিশাল দল। উসমানকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আত্মসমর্পণ না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। আর তাতেই খতম হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী।