বর্তমানে দিদির দূত কর্মসূচির মাধ্যমে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনহিতকর প্রকল্প গুলি পৌঁছেছে নাকি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তেমনি শুক্রবার হাবরা ব্লক ১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত রাউতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির দূত হিসেবে গিয়েছিলেন বারাসাতের সাংসদ তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)।
এদিন স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিয়ে সাংসদ কাকলি দিদির দূত কর্মসূচি শুরু করেন।তারপরই জনসংযোগ শুরু করেন তিনি।জানতে চান মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের আওতায় সবাই আছে নাকি।জানতে চান তাদের আর কোনো অভিযোগের কথাও।এরপর তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান।এবং তারা ঠিকমতো কাজ করছে নাকি তাও পরিদর্শন করেন।পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বলেন,-রাউতাড়া অঞ্চলের মানুষ সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকে।স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সমর্থন জানায়।সেটা নির্বাচন হোক বা অন্য কোন কর্মসূচি।এখানে আমরা উন্নয়নের আবেদন পেয়েছি,কিন্তু কোন অভিযোগ পাইনি।
মূলত,সাগরদিঘী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় এবং বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থীর জয় নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।এই নিয়েও এদিন মুখ খুললেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।সাংসদের মুখে শোনা গেলো এই নিয়ে আঁতাতের অভিযোগ।তিনি বলেন,-একটা অসাধু আঁতাত হয়েছে সাগরদিঘীতে।সম্প্রতি সাগরদিঘী নিয়ে একই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।তবে কি সত্যি আঁতাত হয়েছে?জল্পনা যেনো ক্রমশ উস্কে দিচ্ছে।
সাগরদিঘীর পাশাপাশি ত্রিপুরায় তৃণমূলের সমাপ্ত নিয়ে বিজেপি যে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন,তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ বলেন,-এরকম কথা যাদের রাজনীতির সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই তারাই বলে। ত্রিপুরায় আমরা প্রথম গিয়েছি এবং প্রথম কোন দল গেলে সেটা একটু সময় লাগছে।এছাড়াও এদিন অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়েও সাধারণ মানুষদের পরামর্শ দেন তিনি।বলেন,- বাচ্চাদেরকে যত সম্ভব বাড়ির বাইরে দিয়ে যেতে দেওয়া উচিত নয়।এবং বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।জ্বর এবং কাশি হলেই ডাক্তার দেখানো উচিত।নিজেদের হাতে কোন চিকিৎসা রাখা উচিত নয়।কারণ এই রোগের ওষুধ নেই।তবে সচেতনতা এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরো পড়ুন:Iman Chakraborty: দক্ষিণ কলকাতার রাস্তায় হেনস্থার শিকার হলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী