বেড়েছিল শারিরীক অসুস্থতা!তাই হাসপাতালেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্র।ঘটনাটি বারাসাতের (Barasat)।মঙ্গলবার ছিল এবছরের মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা।কিন্তু সেই পরীক্ষাতেই বারাসাত শহরের তিন পড়ুয়ার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শারীরিক অসুস্থতা।তবে জীবনের বড় পরীক্ষাতে যাতে শারীরিক কোনো অসুস্থতা বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায়,তার জন্য বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অবজারভেশন রুমে সবরকম নিয়ম মেনেই অসুস্থ ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।জানা গিয়েছে,এদের মধ্যে দু’জন ছাত্রী ও একজন ছাত্র ছিল।মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন,তিনি বোদাই স্কুলের ছাত্রী।সঙ্গীতা পাল, গঙ্গানগর বিহারীলাল ঘোষ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী।এবং জয়ন্ত মণ্ডল,বারাসত সুখাইপল্লী উন্নয়ন বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছাত্র।

এই প্রসঙ্গে বারাসাত গভার্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের অ্যাডিশনাল মেডিকেল সুপারেনটেনডেন্ট ডাক্তার সুব্রত মণ্ডল জানান,-সোমবার দুজন ভর্তি হয়,এবং মঙ্গলবার একজন।এদের মধ্যে দু’জনের পরীক্ষার আগেই মানসিক আতঙ্ক থেকে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত প্যানিক থেকেই নানা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।অন্য এক পরীক্ষার্থীর খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়েছিল সারা শরীরে।

তবে, তিনজনই এই মুহুর্তে বিপদ মুক্ত।হাসপাতালে বিশেষ অবজারভেশন রুমে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।যেভাবে স্কুলে পরীক্ষা হয়,সেরকমই নজরদারির মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন এদিন ওই তিন পরীক্ষার্থী।গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকতে পেরেও খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের সাথে তাদের অভিভাবকরাও।

 

আরো পড়ুন:বারাসাতে অসুস্থ তিন মাধ্যমিক পড়ুয়া,হাসপাতালেই হয়ে উঠল পরীক্ষা কেন্দ্র