সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।তার আগে সাধারণ মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু জনপ্রিয় প্রকল্প পৌঁছেছি নাকি তা খতিয়ে দেখতে দিদির দূত কর্মসূচি শুরু হয়েছিল।কিন্তু সেই কর্মসূচিতেই ডাক পাননি তৃণমূল দলেরই কর্মীরাই। আর যার ফলে প্রধান,উপপ্রধান সহ ২৩ জন দিনের গণইস্তফা।ঘটনাটি বারাসাতের।
মঙ্গলবার বারাসাতের কদম্বগাছিতে দিদির দূত কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।যেখানে আগে থেকেই আসার কথা ছিল বারাসাতের সাংসদ তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের।সেইমতো নির্ধারিত সময়ে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।কিন্তু অভিযোগ,সেই কর্মসূচিতেই ডাক পাননি পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান সহ দলের আরো অনেক কর্মীরাই।তাদের অভিযোগ,এই কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের যিনি সভাপতি আছেন,তিনি পঞ্চায়েত সদস্য বা আর যারা রয়েছেন তাদেরকে কোনোরকম ভাবে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানাননি।শুধুমাত্র তাদের সবাইকে সোমবার রাত ১১ টায় জানানো হয় কদম্বগাছিতে দিদির দূত কর্মসূচি রয়েছে।কিন্তু কোথায় শুরু হবে,কখন হবে,কথায় কথায় যাবেন,এই গোটা বিষয় তাদের জানানো হয়নি।এরফলে পঞ্চায়েত সদস্যরা ভেবেছিলেন যেহেতু দিদির দূত কর্মসূচির মধ্যে পঞ্চায়েত সংলাপ নামে একটি কর্মসূচি রয়েছে।তাই তারা মনে করেছিলেন,পঞ্চায়েত সংলাপে সাংসদ দিদির দূত হিসেবে সেখানে আসতে পারেন।তাই পঞ্চায়েতেই তারা সাংসদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।সেইমতো দিদির দূত কর্মসূচি শেষে সাংসদ যখন ফিরে আসছিলেন সেই সময় পঞ্চায়েতের সদস্যরা সাংসদ কে দেখে তাদের ক্ষোভ তুলে ধরতে থাকেন।তারা বলেন,-এইভাবে অঞ্চল সভাপতি তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের কথা জানান না।তারা এইভাবে আজ নয় বহু দিন ধরে এই বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
এদিকে সাংসদের কাছে এই কথা জানানোর পরই সাংবাদিক বৈঠক করে কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান সহ ২৪ জন সদস্য গণইস্তফা দেন।গণইস্তফা দেওয়ার পর তারা জানান,-তারা দলের সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক রাখবেন না।শুধু মাত্র সাধারণ মানুষ যেভাবে কর্মী হিসেবে থাকেন,তারাও সেই কর্মী হিসেবেই থাকবেন। শুধু তাই গণইস্তফা দেওয়ার পর তারা এই নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি চিঠি দেন।এখন এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেই সেটাই দেখার!