পায়ে হেঁটে বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে পারি ৭ ভারতীয়-র।দেশে ফিরতেই বরণ করে নিলেন বনগাঁর (Bonga) প্রধান ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ।মূলত,বাঁচাতে হবে সমুদ্র সৈকত এই বার্তাকে সামনে রেখে পরিবেশ রক্ষার অভিযানে নামলেন প্রথম ভারতীয় বা বিদেশী হিসাবে হাওড়া এডভেঞ্চার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের ৭ সদস্য।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত পুরোটাই পায়ে হেটে পারি দিল ৪ দিনে। বাংলাদেশে অবস্থিত কক্সবাজার জেলার ‘টেকনাফ সাহারপরী’ সমুদ্র সৈকত থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ‘নাজিয়ার টেক’ সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত। এই পুরো সমুদ্র সৈকত পারি দিল প্রথম ভারতীয় বা বিদেশী হিসাবে হাওড়া এডভেঞ্চার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের ৭ সদস্য। যদিও এটি বাংলাদেশের ‘বিচ হাইকিং’ সংস্থার যৌথ ইন্দো-বাংলা মৈত্রী অভিযান। যা পুরোপুরি সফল ভাবে শেষ হয় ২০ তারিখ তথা সোমবার বিকালে।

পুরো অভিযান কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অনুমতি ও সহযোগিতায় শেষ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান হাওড়া এডভেঞ্চার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের ৭ সদস্য। তারা বলেন, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সৈকত এলাকার মানুষদের সৈকত দূষণমুক্ত রাখার বার্তা প্রচার করা এবং সেই সাথে যাত্রাপথে দুটি স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের রক্তদান ও থেলাসেমিয়া রোগ সম্বন্ধে সচেতনতার প্রচারও চালানো হয়। পাশাপাশি পাটুয়ার টেক সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারের অভিযানও চালানো হয়।

বুধবার তারা বনগাঁ পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে বনগাঁ ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ ও অন্যান্য সদস্যরা তাদের ফুলের স্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। এই বিষয়ে বনগাঁ ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন ৭ জন বাঙালি, এটা আমাদের গর্ব, ভারতবর্ষের গর্ব। আর তাই আমরা ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাদেরকে বরণ করে নিলাম।”

অন্যদিকে,এই ৭ সদস্যের দলের দলনেতা উজ্জল দাস এ বিষয়ে বলেন, “বনগাঁ ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সংবর্ধনা পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা যে সচেতনতার বার্তা নিয়ে বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছি তাতে বাংলাদেশের প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছি এবং ভারতে ফিরে এই সংবর্ধনা পেয়ে আমরা বেশ আনন্দিত।”

 

আরো পড়ুন:Medica Hospital:ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মেডিকা হাসপাতালে!পরিদর্শনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম