রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত না করেই,বকেয়া মহার্ঘ ভাতার অর্থাৎ ডিএ (DA) দাবিতে সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত আদালতে (Barasat Court) ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করলো জেলা আদালত কর্মচারী সমিতি।সম্প্রতি বাজেটে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন,-মার্চ মাস থেকে সরকারি কর্মচারীরা অতিরিক্ত ৩% ডিএ পেলে, রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা ছয় শতাংশ ডিএ পাবেন।তবে এদিনের আন্দোলনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা বলেন,৩ শতাংশ কোন সংখ্যার মধ্যেই পরে না,তিন এর পরে একটা ৯ এর দরকার আছে,যেটা কেন্দ্রীয় সরকারি হারে বকেয়া আছে,অর্থাৎ ৩৯ সতাংশ ডিএ পাওয়া দরকার।শুধু ডিএ নয়,একই সাথে এরিয়ার বাকি আছে।৩ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়ে আসলে সরকারি কর্মচারী দের অপমান করা হয়েছে বলে মনে করেন আন্দোলকারীরা।যতদিন না সরকার ৩৯ শতাংশ ডিএ দেবে ততদিন এই কর্মবিরতি চলবে বলেও এদিন জানান আন্দোলনকারি সরকারি কর্মচারীরা।দেখা যায় এদিন সরকারি কার্যক্ষেত্রে কোনো রকম সমস্যা তৈরি না করেই সকল আন্দোলনকারীরা কাজ গুছিয়ে রেখেই এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

এদিকে এদিন বারাসাত আদালতের পাশাপাশি ব্যারাকপুর আদালতে (Barrackpore Court) কর্মবিরতি পালন করে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা।আদালতের সামনে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সমর্থকরা।বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা জানান,-৪৮ ঘণ্টার এই কর্মবিরতিতে কাজ না হলে,এরপর বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তাঁরা হাঁটবেন।অর্থাৎ বলা যায়,রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এদিন তারা অব্যাহত রাখলেন তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি।

অন্যদিকে সল্টলেকেও (Saltlake) একই চিত্র এদিন দেখতে পাওয়া যায়।এদিন সল্টলেক বিধাননগরের ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেনান্সি ট্রাইব্যুনালের কর্মীরাও এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতিতে শামিল হন।সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সমর্থনে যাঁরা,তাঁরা এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন।বুকে ব্যাজ পরে অফিসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে স্লোগান দেন তারা।তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট বলছে ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মীদের অধিকার। অথচ ৩৮ শতাংশ ডিএ বকেয়া, তা নিয়ে সরকার কিছু ভাবছেই না।

 

আরো পড়ুন:Metro In Dino : চলতি বছরেই মুক্তি পাবে অনুরাগ বসু পরিচালিত মেট্রো ইন দিনো!