সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।আর তারপর অর্থাৎ আসছে বছর লোকসভা নির্বাচন।তবে সেই নির্বাচনের আগেই বিজেপি দল নিয়ে ভবিষ্যত বাণী করলেন রাজ্যের বন ও পরিবেশমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)।রবিবার বারাসাত জেলার পশ্চিম খিলকাপুর জেলার মাঠে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে জেলা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।সেখানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী বলেন,-“বিজেপি আগুন নিয়ে খেলছে সেই আগুনেই পুরো মরতে হবে বিজেপিকে।এখানে আমি ভবিষ্যত বাণী করে গেলাম ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনও পার করবে না।লিখে নিন।”এদিন আরো বলেন,-বিজেপি খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।আমাদের দলে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।

দেখা যায় এদিনের এই অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ,বারাসাতের সাংসদ তথা মহিলা সভানেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার,নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়,দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডল,সংখ্যা-লঘু সেলের রাজ্য সভাপতি হাজী নুরু ইসলাম,বারাসাত ব্লক ২ সভাপতি সম্ভু ঘোষ সহ বিশিষ্ট জনেরা।

এদিন খাদ্যমন্ত্রী বলেন,-“আজকের এই সম্মেলনে আমাদের আগামী দিনে কিভাবে লড়াই করতে হবে।সেই বিষয়ে কথা বললাম।বর্তমানে আমাদের অনেক বাঁধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।ভারতীয় জনতা পার্টি আমাদের দলের কর্মীদের পিছনে ইডি সিবিআই লাগিয়ে দিচ্ছে।ভারতবর্ষে দুজন গৌতম আছে।একজন গৌতম তপস্যা করে বুদ্ধদেব হয়েছিলেন।আর একজন গৌতম যিনি নরেন্দ্র মোদীর সান্নিধ্যে গৌতম আদনি হয়েছেন।তাই ভারতবর্ষে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”আরো বলেন,-“অনেকে অনেক রকম করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।কিন্তু এটা জানবেন সাধারণ মানুষের জন্য,সংখ্যা লঘু ভাই বোনদের জন্য সবসময় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।”

অন্যদিকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন,-“বিরোধী দল মানুষের মধ্যে ধর্মের ভিক্তিতে ভেদাভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে।আরো বলেন,- উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার দিয়ে মসজিদকে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।রাতের অন্ধকারে মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।চলছে আরো কত দুর্নীতি।”

 

আরো পড়ুন:Nabanna:২০,২১ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করল রাজ্য