নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোমরে দড়ি পড়ল এবার বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন ধরেই উঠে এসেছিল এই ব্যক্তির নাম।শুক্রবার দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

মূলত,২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের নাম প্রথম শোনা যায় চন্দন মণ্ডলের মুখে। চন্দনকে ‘বাগদার সত্‍ রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এরপরই আদালতে ওঠে বিষয়টি।

বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন তাঁর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী বাগদায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিয়েও তার সন্ধান পাননি গোয়েন্দারা।পরে গত বছর জুলাই মাসে সিবিআই চন্দনের হদিশ পায়। তাঁকে একাধিক বার জেরাও করেন গোয়েন্দারা। গত ২২ জুলাই বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে হাজিরা দেন চন্দন মণ্ডল।সেদিন সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল চন্দনবাবু তদন্তে সহযোগিতা করছেন। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গত ২১ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দনকে নিজাম প্যালেসে জেরা করে সিবিআই। দাবি করেছিলেন, তিনি কাউকে টাকা নিয়ে চাকরি দেননি। ভোটে উপেন বিশ্বাসকে সাহায্য না করায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।

এরমধ্যে শুক্রবারও নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে চন্দন মণ্ডলের ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক তথ্যে গরমিল পেতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর অ্যাকাউন্টে শুধু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। আবার সেই টাকা অন্য কোথাও বেরিয়ে গিয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে নানা অসঙ্গতি লক্ষ করেন তদন্তকারীরা। এরপরই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

 

আরো পড়ুন:Arjun Singh:গ্রেফতার অর্জুন সিং-এর ভাই সঞ্জয় সিং