শনিবার সকাল থেকে হটাৎ করেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার মেছেদা শহর ও শান্তিপুর (Shantipur) গ্রামের বহু জায়গায় উপপ্রধানের ছবি-সহ তার বাড়ির ছবি দিয়ে লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায়।যাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে যায় ফের রাজ্য রাজনীতি।
মূলত,শান্তিপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত কয়েক মাস ধরেই শিরোনামে! দুর্নীতির অভিযোগে শান্তিপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সেলিম আলি-কে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলে, সেই নির্দেশ অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেন।
কিন্তু, ঠিক এর পরের দিনই কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কালো পাথর মামলায় প্রাক্তন প্রধান সেলিম আলি ও শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট দিবাকর জানা-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, সেই সময় শান্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায়ও বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা ছাড়া হয়ে যান।তবে এদিনের পড়ে থাকা লিফলেট নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও উত্তপ্ত হয় রাজনীতি।
দেখা যায়,এদিনের ওই পড়ে থাকা লিফলেটে লেখা রয়েছে, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি, আবাস যোজনা দুর্নীতি, বাথরুম বিলির দুর্নীতি, চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকার আন্ত্যসাৎ। জনগণের লুঠ করা টাকায় বাড়ি, গাড়ী সম্পত্তি কেনা। এছাড়াও ব্যাংকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা, গহনাও রয়েছে তার এবং তারই প্রকৃত তদন্ত চেয়ে তৈরি করা হয়েছে এই লিফলেট।
এই লিফলেট প্রসঙ্গে শান্তিপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান সুজয় মাইতি বলেন, “লিফলেট সমন্ধে তার কোনো মন্তব্য নেই। প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।” সেই সাথে লিফলেটের বিষয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বদের জানাবেন বলেও দাবি করেন তিনি। শান্তিপুর ১নং তৃণমূল অঞ্চলের সভাপতি পঞ্চানন দাস বলেন, “লিফলেট সম্পর্কে তিনি দলকে জানাবেন”। উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায় বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, কেউ বা কারা তাকে বদনাম করার জন্য এই লিফলেট ছড়িয়েছে। এই সমস্ত কিছুর তদন্ত হোক তিনিও চান। যদিও আপাতত, প্রাক্তন প্রধান শেখ সেলিম আলি এখন তমলুক সংশোধনাগারে বন্দি। তবে, এই বিষয় নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
আরো পড়ুন:Newtown:নিউটাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড,ভস্মীভূত ১৫ দোকান