শুক্রবারই প্রকাশিত হলো প্রাথমিক টেটের ফল।এদিন টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।যেখানে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।পর্ষদ সভাপতিকে পাশে বসিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে এদিন জানান,-টেট পরীক্ষায় যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম।শিক্ষামন্ত্রীর দাবি,এক শ্রেণির মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পরীক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল।তারপরও পর্ষদ স্বচ্ছভাবে ফল প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে এত স্বচ্ছতা সত্ত্বেও কুন্তলের বাড়িতে ওএমআর শিট উদ্ধার হল কেন?তাহলে কি অনিয়ম হয়েছে?অবশ্য এদিন বৈঠক কার্যত অনিয়মের সব দায় ঝেড়ে ফেলেন শিক্ষামন্ত্রী।বলেন,-পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে। আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন।আপনার হাতে একটি কপি রয়েছে।অপরটি পর্ষদের হাতে রয়েছে।আপনি যদি সেটা দালালকে দেন তবে তার দায় পর্ষদের নয়, সরকারের নয়।কেউ যদি দালালের ফাঁদে পা দেন তার দায় পর্ষদের হতে পারে না।কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের দায় পর্ষদেরও নয়।আমিও বলছি কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের ফাঁদে যদি পা দেন তবে সেই দালালের বা দুষ্টচক্রের মতো আপনারও সমান অপরাধ।কোনওরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। আপনি শুধু মেধা ও নিজের শ্রমের উপর আস্থা রাখুন।পর্ষদের নিরপেক্ষতার উপর আস্থা রাখতে হবে।পর্ষদ এমন করেছিল যে কোনও ছিদ্র নেই।কোনও কালনাগিনী ঢোকার মতো কোনও পরিস্থিতি নেই।কোনও উপায় নেই।লখিন্দরের বাসরঘরের মতো ত্রুটি সামলে পরীক্ষা নিয়েছে পর্ষদ সভাপতি!

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন,-পরীক্ষার্থীকে যদি আস্থা রাখতে হয় তাহলে নিজের যোগ্যতা, শ্রম এবং মেধার ওপর আস্থা রাখতে হবে।আর পর্ষদের নিরপেক্ষতার ওপর ভরসা করতে হবে।

এদিকে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হওয়ার জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর উপর দেন তিনি।পাশাপাশি নিয়োগ প্রসঙ্গে গৌতমবাবু জানিয়েছেন,-এখন ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগ চলছে।তারমধ্যেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।খুব শীঘ্রই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

সে যাই হোক,এদিন শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে,এতদিন শিক্ষা দফতরের কেষ্টবিষ্টুদের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় বার বার এসেছে।তখন কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার?কেন সেই তথাকথিত কালনাগিনীরা বসেছিলেন শিক্ষা দফতরের অন্দরে? টাকা না দিলে চাকরি হবে না এটাই তো কার্যত অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল।তার দায় কি শুধুই পরীক্ষার্থীদের?

 

আরো পড়ুন:Firhad Hakim:মন্ত্রী ফিরহাদের হাত ধরে নিউটাউনে চালু হল দেশের প্রথম দোতলা আন্ডারপাস