চলছে লাকি ড্র!দারুন দারুন সব উপহার।তবে এর জন্য ইমেল আইডি বললে খুব ভাল হয়।নয়তো নাম, ফোন নম্বর দিলেই হবে।কারণ আপনি কি উপহার পেয়েছেন তা জানানো হবে ওই নম্বরে বা ইমেল আইডিতে।বর্তমানে ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair) প্রবেশ করতে গেলো এমন কথা শুনতে হচ্ছে কি?আপনি কি নিজের নম্বর দিয়েছেন,বা দেবেন ভেবেছিলেন?কিন্তু সাবধান! এ ভাবে নাম, ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি-র মতো ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিলে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে। শপিং মল, বাজার এলাকা বা মেলা চত্বর থেকে জোগাড় করা সাধারণ মানুষের এই সব তথ্যই এর পরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জামতাড়া-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতারকদের কাছে। ওই সব তথ্য ব্যবহার করেই হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকাকড়ি অথবা নিজের অজানতেই ঘাড়ে চাপতে পারে মোটা টাকার ঋণের বোঝা। নয়তো করা হতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে এমন অন্তত ৪০টি অভিযোগ পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে। খোয়া গিয়েছে সাড়ে আট লক্ষ টাকা। ফোন করে কাউকে বলা হয়েছে, বইয়ে দারুণ ছাড় রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট কিউআর কোড স্ক্যান করলেই হবে। প্রকাশনা সংস্থার লোকজনকে কিছু বলারও প্রয়োজন নেই। বইয়ের দাম জেনে নিয়ে আগে থেকে পাঠানো কিউআর কোডটি স্ক্যান করলেই ওটিপি পাওয়া যাবে ফোনে। তা নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দিলেই হবে।এক দম্পতিকে আবার ফোন করে জানানো হয়, ভ্রমণ সংস্থার লটারিতে পুরস্কার জিতেছেন তাঁরা। ফোনে জানানো ঠিকানায় যেতেই তাঁদের হাতে মাঝারি মাপের একটি উপহারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। বলা হয়, এটা নিছকই নিয়মরক্ষা। আসলে তাঁরা পাচ্ছেন বিশেষ বেড়ানোর প্যাকেজ! পাঁচতারা বন্দোবস্ত। আলাদা খরচ লাগবে না। সবই ওই প্যাকেজে। ৭০ হাজার টাকার ওই প্যাকেজ নেওয়ার পর থেকে ভ্রমণ তো দূর, সংস্থার কাউকেই দেখতে পাননি তাঁরা।
পুলিশ অধিকারীদের মতে,এই ভাবে প্রতারণা চক্র চলছে রাজ্য জুড়ে।প্রথমে তারা সংগ্রহ করছে ফোন নম্বর।তারপর সেটা তথ্যভান্ডার হিসাবে বিক্রি হচ্ছে।শুধু মোবাইল নম্বরই নয়, টাকা দিতে পারলে মিলছে কারও ইমেল আইডি, আধার বা ভোটার কার্ডের নম্বরও।পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তল্লাশি চলছে।খুব শীঘ্রই তাদের ধরা হবে।
আরো পড়ুন:Recipe: বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু মালাই পনির কোর্মা