পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের মতুয়া ভক্তদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বামনগাছি (Bamangachi)।দেখা যায়,সপ্তাহের শুরুর দিনই বামনগাছি চৌমাথা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যরা।এদিন হাতে ডঙ্কা,কাশি-সহ নিশান নিয়ে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা।তাদের দাবি,-অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে।এমনকি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী যদি ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে ক্ষমা না চান তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

মতুয়া সংঘের সদস্য মিতালি বিশ্বাস বলেন,-“আমাদের ধর্মরগুরুর যে অপমান হয়েছে তা আমরা মেনে নেব না।মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছে আমরা সহ্য করতে পারবো না।তাই তার প্রতিবাদে আমরা পথে নেমেছি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই করেছি,ওই করেছি,কিন্তু তিনি আমাদের জন্য কিছুই করেননি।”অপর এক সদস্য অনির্বাণ হালদার বলেন,-“মুখ্যমন্ত্রী এখনও স্লিপ অফ টাং’য়ের জন্য ক্ষমা চাননি।তাঁকে ভালো করে মতুয়াদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।ভোট রাজনীতি মিটে যাওয়ার পর তাঁর মতুয়াদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ্যে আসছে।আর সেই ঘৃণার প্রতিফলন হচ্ছে বারবার তাঁর কথায়।মুখ্যমন্ত্রী যতদিন না ক্ষমা চাইবেন আমাদের আন্দোলন চলবে।” তাদের কথায়,-প্রয়োজনে এই আন্দোলন নবান্ন পর্যন্ত যাবে।এমনকি নবান্নকে তাসের ঘরের মতে ভেঙে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

এদিকে এদিনের এই প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে চৌমাথা এলাকায় দত্তপুকুর থানা ও বামনগাছি পুলিশ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।মতুয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এদিন অশোকনগরেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।অশোকনগর বিল্ডিং মোড় এলাকায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এদিন।এরপর মিছিল গিয়ে শেষ হয় মানিকতলা পেট্রোল পাম্প মাঠ পর্যন্ত।অন্যদিকে সপ্তাহের শুরুর দিন এমন বিক্ষোভের ফলে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পরে।ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে এরপর অবরোধ তুলে নেয় মতুয়া ভক্তরা।

 

আরো পড়ুন:ED:দুর্নীতি চক্রের মাথাদের তৈরি রেটচার্ট কেমন ছিল?ইডির তথ্যে চাঞ্চল্য