বুধবার ছিল কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ।আর নতুন বছরের বাজেটে কি পরিবর্তন আসে,সেই দিকেই নজর ছিল সকলের।কিন্তু এই বাজেট প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।বুধবার বীরভূমের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান,-এই বাজেট নট ফিউচাররিস্টিক, এটা অপারচুনিস্টিক। এতে আশার আলো নেই। অন্ধকারের অমাবস্যা আছে। পুরোটাই গরীবদের বিরুদ্ধে বাজেট। সারা দেশে বলছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ৮১ লক্ষ করব। কিন্তু সেটা তো কেন্দ্র করে না করে তো রাজ্য। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, এখানে ছিল ১ লক্ষ। আমরা ১১ বছরে করেছি ১১ লক্ষ। রাজ্যগুলো যা করে সেটাকে যুক্ত করে বলছে। তোমার ক্রেডিট কোথায়?
বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মমতার বার্তা,-লজ্জা করে না! স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের সঙ্গে মিটিং করছ আর চিঠি পাঠাচ্ছ। কী করেছ তাঁদের জন্য? কী করেছ আশার জন্য? কী করেছ কৃষকএর জন্য? কী করেছ আইসিডিএসদের জন্য? কী করেছ বেকারদের জন্য? জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। তার জন্য কী করেছ? বাজেটের নামে দরিদ্র হয়েছে বঞ্চিত। একাংশ হয়ে লাভবান। সেটাও ওই স্ল্যাবের নামে মুদ্রাস্ফীতি যা বেড়েছে তাতে লাভ নেই। পুরোটাই লোকসান।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,-যারা কিছু করতে পারে না। বড় বড় কথা বলে, আমরা তাঁদের মধ্যে পড়ি না। আজ অবধি কোনও কথা রাখতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সরকার? প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর মানুষকে বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। পেয়েছেন কেউ? বলেছিল ২ কোটি লোকের চাকরি দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি। আমি এখনও মনে করি মাটির ঘরেই জ্বলে আলো।
এদিকে আবার এদিন বাজেট পেশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এই বিষয়ে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)।বাজেটকে মিত্র-কাল বলে কটাক্ষ করে রাহুল নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখেন,-এক শতাংশ ধনপতি সম্পদের ৪০ শতাংশ দখল করে রেখেছে। জিএসটির ৬৪ শতাংশ আসে ৫০ শতাংশ দরিদ্রতম মানুষের কাছ থেকে। ৪২ শতাংশ যুবক-যুবতী বেকার। তবুও, প্রধানমন্ত্রী বিচলিত নন।
এছাড়াও এই বিষয়ে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।যেখানে গোটা বাজেটকে মোহজালে আটকে রাখার চেষ্টা বলে আক্রমণ করেছেন তিনি।কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, পেট্রোল ডিজেল বা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবেন। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। শুধুমাত্র একটি বাজেট পেশ করে মানুষকে মোহজালে আটকে রাখার চেষ্টা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:Budget 2023:সিগারেটের উপর অন্তঃশুল্ক বাড়ালেন নির্মলা