এবার বারাসাত (Barasat) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হলো শিশুদের জন্য টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস পরিষেবা।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পরিষেবা সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে জানান বারাসাত গভার্নমেন্ট মেডিকেল কলেজের অ্যাডিশনাল মেডিকেল সুপারেনটেনডেন্ট ডাক্তার সুব্রত মন্ডল।সূত্রের খবর,সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এই ডায়াবেটিস পরিষেবা চালু থাকবে।তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে এই পরিষেবা আরো বাড়ানো হবে।এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বিনামূল্যেই করা হবে ভার্সেস হাসপাতলে।দেখা যায়,প্রথম দিনেই অর্থাৎ মঙ্গলবারই সাতজন রোগী এই পরিষেবা নিতে আসে বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এই প্রসঙ্গে এদিন বলতে গিয়ে প্রথমেই সাংসদ কাকলির ভুয়সী প্রশংসা করে সুব্রত মন্ডল বলেন,-“বারাসাত হাসপাতাল গড়ার জন্য অনেক বড় অবদান আছে সাংসদের।এই হাসপাতালকে ঢেলে সাজানোর জন্য সবরকম সহযোগিতা সাংসদের কাছ থেকে আমরা বরাবর পেয়েছি।”

এরপরই তিনি আরো বলেন,-এটা আমরা কলকাতা এসএসকেএমে হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ডক্টর সুজয় ঘোষ এবং তাদের টিম,প্রথমে আমাদের এখানকার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর কৌশিক সেন,ডক্টর সুখরঞ্জন সরকার,রঞ্জন সোম,মঞ্জু মন্ডল,বিশ্বজিৎ দাস,এবং আরো কিছু স্টাফদের সবাইকে ট্রেন্ড করায়।এবং এরপরেই এসএসকেএমের মডেলের আদলে বারাসাত মেডিকেল কলেজে শুরু হয় টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস পরিষেবা।এবার থাকে আর ডায়বেটিস রোগীদের কলকাতায় যেতে হবে না বলে জানান ডাক্তার সুব্রত মন্ডল।

মূলত,বর্তমানে শুধু ডায়াবেটিস বড়োদের মধ্যে না,ছোটদের মধ্যেও এর প্রবণতা দেখা যায়।এই রোগ হলে,অতিরিক্ত ওজন হ্রাস, খাওয়ার পরেও সঠিক ওজন না হওয়া, বার বার মূত্রত্যাগ,অতিরিক্ত খিদে,খিটখিটে হওয়া,তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয় শিশুদের মধ্যে।পাশাপাশি পেট ব্যথা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দেই শিশুর মধ্যে।তবে এবার সেই রোগের উপসম তাও আবার বিনামূল্যে বারাসাত হাসপাতালে শুরু হওয়ায় হাসপাতালের সুপারকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বারাসাতবাসীরা।

 

আরো পড়ুন:ED:ইডির নজরে এবার প্রভাবশালী শিল্পপতি