এবার ইডির (ED) নজরে পড়ল প্রভাবশালী শিল্পপতি হেমন্ত কানাডিয়ার সংস্থার নাম।যে সংস্থার মধ্যে থেকে সর্ষের মধ্যে ভূত লুকিয়ে থাকার রহস্য বের করল ইডি কর্তারা।ইডি সূত্রে খবর,২ মাস আগে আয়কর দফতরের তরফ থেকে যে অভিযান চালানো হয়েছিল,পার্ক সার্কাস,ট্যাংরা বিভিন্ন অংশে।সেখান থেকে তথ্য মেলে শ্রেয়ী সংস্থার নাম উঠে আসে।মূলত,এই সংস্থার যে ইনফর্স স্ট্রাকচার লিমিটেড তার অধিনস্ত দুটি সংস্থা রয়েছে।একটি এসআইএফএল,অন্যটি শ্রেয়ী রিকুটমেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল লিমিটেড।এই দুটি সংস্থার কাজ সাধারণ মানুষের জন্য যে ইনফোর্স স্ট্রাকচার তৈরি হয়,বা রাস্তা ঘাট,ব্রিজ ইত্যাদি যা কিছু তৈরি হয়,তার ঋণ প্রদান করা।কিন্তু এখানেই আসল গল্প লুকিয়ে ছিল।
ইডি কর্তারা জানান,-এই শ্রেয়ী সংস্থার হেমন্ত কানাডিয়া সে শুধু এই রাজ্যের লোনের ব্যবসা নয়।ঝাড়খণ্ড,বিহার বিভিন্ন অংশে তারা বেআইনি ব্যবসা ছড়িয়েছিল।এবং বিভিন্ন রাজ্যে পাচারের অর্থ এই সংস্থার মধ্যে অনুপ্রবেশ করত।তাদের সংস্থাতে গরু পাচার,কয়লা পাচার সহ একাধিক বেআইনি টাকা আসতো।এমনকি প্রভাবশালীদের অর্থ খাটতো এই সংস্থার মধ্যে।এছাড়াও এই সংস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি ব্যাংক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।পাশাপাশি এই সংস্থাতে নিরপেক্ষ অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করানো হচ্ছে।তাতে ৬০০০ কোটির ওপরে প্রায় দুর্নীতির বিভিন্ন দিক উঠে আসছে।অর্থাৎ বলা যায় দুর্নীতির আঁতুড়ঘর দিয়ে তৈরি হচ্ছিল কলেজ বা হোটেল।
দেখা যায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে তল্লাশি শুরু করে ইডি কর্তারা।বারোটি দলে বিভক্ত হয়ে ট্যাংরা, আলিপুর, আনন্দপুর, নিউ আলিপুর, হেস্টিংস, বজবজ, মহেশতলার সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়।তবে প্রথম দিকে এই তল্লাশির কারণ না জানা গেলেও।পরে ইডি সূত্রে জানা যায়,এই হেমন্ত কানাডিয়ার সংস্থার টাকা কোন রুটে কি ভাবে এখানে পাচার হতো?কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে?তল্লাশি অভিযানের মধ্য দিয়ে এদিন এইসব তথ্য জানার চেষ্টা করে ইডি কর্তারা।
আরো পড়ুন:Sunny Leone : শুটিং করতে গিয়ে আহত সানি লিওন!