সোমবার সাড়ম্বরে শুরু হলো ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উৎসব (Kolkata Book Fair Festival)।দেখা যায় এদিন দুপুরে বইমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়,রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু,অরূপ বিশ্বাস,বাবুল সুপ্রিয়,সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী,রাজ্যসভার সাংসদ তথা ডাক্তার শান্তনু সেন,বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত,বর্তমান মেয়র কৃষ্ণ চক্রবর্তী,পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে, গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টজনেরা।পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,স্পেনের রাষ্ট্রদূত হোসে মারিয়া রিডাও ডমিনগুয়েজ এবং স্পেনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল মারিয়া হোসে গালভেজ সালভাডর।
এদিনের এই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে সম্মান জানান।সাথে ৪৬ তম বইমেলায় সকলকে আহ্বান জানান।এবং পাশে থাকতে বলেন পাবলিশারদেরও।এরপরই তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন,’কম্পিউটারে অনেক কিছু শেখা যায়,কিন্তু বইমেলায় আসুন।ঘুরে দেখুন।’ পাশাপাশি বইপ্রেমীদের সুবিধার্থে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তীকে নির্দেশ দেন বাস পরিষেবা বাড়ানোর।এত বড় মেলা,যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন দমকলমন্ত্রীকে।এরপরই সমালোচকদের মুখে তালা পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।বলেন,-তিনি বাকস্বাধীনতার বিরোধী নন।কোনও কিছু পছন্দ না হলে বিরোধিতা নিশ্চয়ই করা যায়। কিন্তু সেই ভাষা নম্র হতে হবে।আরো বলেন,-”আমি সমলোচনার ঊর্ধ্বে নই।আমার কেউ সমলোচনা করলে আমি খুশি হই।সমলোচনা থেকে যদি আমি কিছু শিখতে পারি।তার থেকে বড় জিনিস আর কী হতে পারে।কিন্তু কেউ খারাপ বলে বলুক, তুমি খারাপ বলো না।”
এরপরই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান,-‘রাজনৈতিক লোকেরা কি বই লিখতে পারেন না?’ আরো বলেন,-‘রাজনৈতিক লোক আগে সামাজিক জীব।বাস্তবে একটু মাটি ও কলমের স্বাদ নিন।মাটি ও ধুলো ছাড়া শিক্ষার শেষ নেই।সব কিছুকে নেগেটিভ কেন ভাবব। জগতের একতা, আমরা ক্ষুধার বিপক্ষে লড়ব।আমরা শান্তি চাই।আমরা কর্মসংস্থান চাই। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।’
আরো পড়ুন:ED:খোঁজ মিলল গোপালের!নিজেই ফোন করলেন ইডি দফতরে