বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক।আর এই খাদ্য রসিক বাঙালির জন্য প্রতিবছরের মত এ বছরও শুরু হয়ে গেছে দমদম খাদ্য মেলা।এই বছর ‘দমদম খাদ্য মেলা নালে ঝোলে’ (Nale Jhole Dumdum Khadya Mela) দশম তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ২০১৩ সালে ‘নালেঝোলে’-র পথ চলা শুরু হয়েছিল।মঙ্গলবার পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরে সাড়ম্বরে ‘দমদম খাদ্য মেলা নালে ঝোলে’র উদ্বোধন করা হয়।বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদমের সাংসদ সুব্রত রায়,দমদমের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু,দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের পৌর মাতা ও পৌর পিতাগণ।

আর এদিনের এই উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ফুচু’ বলে সম্বোধন করে,সৌগত রায় উল্লেখ করেন এই খাদ্যমেলার রূপায়ণে দেবাশিসের ভূমিকার কথা।বলেন,-“যেভাবে ও বাংলার সব শ্রেষ্ঠ খাদ্য প্রস্তুতকারককে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে,তাতে ওকে অভিনন্দন জানাতে চাই।ওর পিছনে যা পৌর প্রতিনিধিদের ভিড় দেখতে পাচ্ছি,তাতে ওকে পৌরপ্রধান করা যায়।”সৌগতর এই কথা শুনে হাততালির ঝড় ওঠে এদিন।এরপরই ব্রাত্য বসু বলেন,-“রাজনৈতিক জীবনে যাই হয়ে থাক না কেন,সৌগত দা যা বললেন সেটাই ঠিক।আগামী দিনগুলো দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়েরই।”এদিকে এই বিষয়ে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,-এর উত্তর সৌগত দা দিতে পারবে।সব পৌরপ্রতিনিধিরা আমাকে ভালবাসেন।তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।

অবশ্য মঞ্চ থেকে নামার পর এই ব্যাপারে আবারও সংবাদমাধ্যম সৌগত বাবুকে প্রশ্ন ছুড়লে,তিনি বলেন,-“আমি শুধু বলেছি ফুচুর ডাকে সব পৌর প্রতিনিধিরা এসেছেন,যেন মনে হচ্ছে পৌরপ্রধান হিসেবে ও সমর্থন পাচ্ছে।হিউমারটা বুঝতে হবে।এটা কোনও নির্দেশ বা প্রস্তাব নয়।”

প্রসঙ্গত,তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল পৌর প্রতিনিধি হিসেবে লড়েছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।তারপরও আসন জিততে কোনও অসুবিধা হয়নি দমদমের এই দাপুটে নেতার।তবে বিপুল ভোটে জিতলেও তৃণমূলে আর ফেরেননি তিনি।এবার সেই পৌর প্রতিনিধিকেই পুরপ্রধান করার কথা বলতে শোনা গেল খোদ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মুখে।যাকে ঘিরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।

 

আরো দেখুন:Amarnath Sakha:’দিদির দূত’দের ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করার নিদান দিলেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ