“প্রজাপতি” মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই গোটা বক্স অফিসে মারাত্মক সাফল্য লাভ করে সিনেমাটি। টানা ২৫ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ হলেই হাউসফুল ছিল সিনেমাটি। এছাড়াও সারা দেশেই মুক্তি পেয়েছে এটি। তবে মুক্তির পরেই নানা বিতর্ক শুরু হয় ছবিটি নিয়ে, চলচ্চিত্রের গায়ে লাগানো হয় রাজনৈতিক রঙ। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন মিঠুন চক্রবর্তীর খারাপ অভিনয়ের জন্যই শেষ হয়ে যাবে এই সিনেমার ভবিষ্যত। আর এই নিয়েই সোমবার প্রজাপতির সাকসেস পার্টিতে মুখ খোলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘দেবকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছিল। কারণ উনিই এখন পার্টির শেষ কথা। তবে দেব ভয় পায়নি। অভিনেতা হিসেবে উত্তর করেছে।’
আর মিঠুনদার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিলেন দেবও এইদিনই। বলতে শোনা গেল, ‘না না আমাকে কেউ ভয় দেখায়নি। এটা মিঠুনদার ব্যক্তিগত মত। এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে এটা বাংলা সিনেমার জয়। তাই কে কী বলল সেই বিতর্কে আর যেতে চাইছি না। মিঠুনদার সঙ্গে আমার স্নেহের সম্পর্ক। আগে থেকেই ঠিক ছিল ২৫ দিনের সাকসেস পার্টিতে উনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আমার মনেও নন্দন নিয়ে আর ক্ষোভ নেই। আমরা নন্দন চেয়েছিলাম কারণ চেয়েছিলাম অনেক বেশি মানুষ ছবিটা দেখুক। আর সেটা হয়েছে।’
এরপর দেব (Dev) বলেন সারা বিশ্বে প্রজাপতি মুক্তির কথা চলছে। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর মানুষ বাংলা ছবি নিয়ে কথা বলছে। সারা ভারতে ছবি মুক্তি পেলেও বেশিরভাগ প্রথম সপ্তাহের পর নেমে যায়। তবে এটা চলেছে। ২৫তম দিনে চলেছে মানে প্রজাতন্ত্র দিবসের সপ্তাহেও চলবে। এরপর প্রজাপতি মুক্তি পাবে বহির্বিশ্বে। ৩ ফেব্রুয়ারি ছবির বিশ্বব্যপী মুক্তির কথা রয়েছে। এমন অনেক দেশে প্রজাপতি যাবে যেখানে আগে কোনও বাংলা সিনেমাই যায়নি।’
এরপর পরিস্কারভাবে দেব (Dev) নিজের মতামত জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দাদার প্রশ্নের উত্তর দেব না। দাদা পার্টি এনজয় করুক। আসলে আমাদের দেশে সবকিছুর সঙ্গে রাজনীতির রং লাগানো হয়। আমি তাঁর উর্দ্ধে থাকি, বিরুদ্ধেও। আমি এমন কোনও মন্তব্য করব না যেখানে কাউকে ছোট করে আমার সিনেমাকে বড় করা হবে। ২৫ দিন ধরে প্রজাপতি চলছে। গোটা দেশে মানুষ বাংলা ছবি নিয়ে কথা বলছে। সেই ছবির প্রযোজক আর অভিনেতা আমি। এর থেকে বড় কিছু হতে পারে না। ছবি হিট হয়, ব্লকবাস্টার হয়, তবে প্রজাপতি একটা ইমোশন।’
আরো পড়ুন: Ujaan Ganguly: ৩০ বছর পর আবার বাবা মায়ের বিয়ে দিলেন উজান