চারিদিকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি পালনে বিরোধীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তৃণমূল দলকে।এরমধ্যেই শনিবার সকালে শঙ্খ বাজিয়ে স্থানীয় একটি শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন বারাসতের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)।এরপর উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাত লোকসভার অন্তর্গত ছোট জাগুলি এলাকার স্থানীয় মানুষদের অভাব অভিযোগ শুনতে তাদের দুয়ারে পৌঁছে যান সাংসদ।বাড়িতে ঢুকে বসে মন দিয়ে সমস্যার কথা শোনেন।সেখান থেকে রহনা দেওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে একাধিক বিষয়ের মন্তব্য করেন সাংসদ কাকলি।
সম্প্রতি তৃণমূল নেতাদেরকে আখের পেশাই মেশিনে ঢুকিয়ে রস বার করার,দাবি জানিয়েছেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।এই প্রসঙ্গে এদিন সাংসদ বলেন,-“এগুলো হিংসাত্মক কথাবার্তা।ওনারা ৩৪-৩৫ বছর বাংলার বুকে হিংসা ছড়িয়েছিলেন।ওনারা গরীবের পুকুরে ফলিডল ঢেলে দিতেন,গরীব কৃষকের জমির ধান গায়ের জোরে কেটে নিয়ে যেতেন, ঘরে আগুন লাগিয়ে দিতেন।হিংসা করতে করতে পরিস্থিতি এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলার মানুষ তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে,গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধ্বংস করে দিয়েছেন ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন।”সাংসদ আরো বলেন,-“জ্বালাটা তারা ভুলতে পারছেন না,জ্বালা বুকে নিয়ে বসে আছেন, তাই মাঝে মাঝে জ্বালাটা বেরিয়ে আসে।”এরপরই মুচকি হেসে সাংসদ বলেন,-“আমি তো শুনেছি খামারপাড়ায় মিছিল করতে এসেছিল।লোকজন ‘খেলা হবে’ ‘খেলা হবে’ বলে তাড়িয়ে দিয়েছে।”
বামেদের হুংকার দেওয়ার পাশাপাশি বনগাঁর বিজেপি বিধায়কের চেলাকাঠ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের গণধোলায়ের নিদান প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন,-“মানুষের পাশে করোনা সময় সেবা দিতে পারেনি।উত্তরপ্রদেশে যমুনা ধার দিয়ে চিতা জ্বালিয়ে দিয়েছে।আর উত্তরপ্রদেশে মেয়েদেরকে একেবারে নরসংহার করা হয়।আগে ওনাদের বলুন উত্তরপ্রদেশের মত জায়গায় ভদ্রভাবে কাজ করতে। মেয়েদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে এবং তারপরে এখানে চেলাকাঠ দিয়ে পেটাবেন।নয়তো পশ্চিমবাংলার মহিলারা তাদের সঙ্গে চেলাকাঠ দিয়ে কি করবে,তা বুঝতে পারছি না।”
আরো পড়ুন:Sananda Basak: বিয়ে করে মহা সমস্যায় পড়লেন সানন্দা, কিন্তু কেনো?