খবরের শিরোনামে বারবারই উঠে এসেছে অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাটের কাজ।তবে,বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রতিবাদ করেন।তবে এবার বিকল্প চিত্র দেখা গেলো।এমনকি অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট রুখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে পথে নামতে অব্দি দেখা গেলো পৌর প্রতিনিধিকে।জানা গিয়েছে,ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত বাগুইআটিতে (Baguiati)।

বাগুইআটির অশ্বিনীনগর সংলগ্ন সন্তোষপল্লী এলাকায় সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাতারাতি সেখানে রাবিসের বস্তা ফেলার পাশাপাশি আবর্জনাও ফেলা হচ্ছিল পুকুর ভরাট করতে।আর এই ঘটনার খবর পেতেই তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছান বিধাননগর পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি তথা কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ নাগ (Prasenjit Nug)।তড়িঘড়ি এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেন তিনি।পাশাপাশি আটকান খননের কাজ।তারপরই সোমবার এই বিষয়ে প্রসেনজিত্‍ নাগ বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র,পুলিশ কমিশনার এবং বাগুইআটি থানা সহ একাধিক জায়গায় চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান।দেখা যায় তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অর্থাৎ মঙ্গলবারই প্রসেনজিত্‍ নাগের উদ্যোগে এবং বিধাননগর পুর নিগমের পক্ষ থেকে আবর্জনা ভর্তি পুকুর খনন ও পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়।

এরপরই স্থানীয় মানুষদেরকে আশ্বস্ত করে পৌর প্রতিনিধি বলেন,-“অতি শীঘ্রই আগের অবস্থায় ওই জলাশয়টিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”অন্যদিকে এই বিষয়ে বিধানগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন,-“কেউ যদি এই কাজ করেন,তার জন্য কর্পোরেশনের যা যা নিয়ম রয়েছে সবটা প্রয়োগ করা হবে।মানুষের জন্য,প্রকৃতিকে বাঁচানো জন্য যা যা রয়েছে,সেটা আমরা করতে প্রস্তুত।”তবে বর্তমানে অভিযুক্ত পলাতক।ইতিমধ্যেই তার বিষয়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা।

 

আরো পড়ুন:Gandhi Godse – Ek Yudh : মুক্তি পেল রাজকুমার সন্তোষীর হিস্টরিকাল ড্রামা ফিল্ম গান্ধী গডসে এক যুদ্ধের ট্রেলার