প্রতিবছর ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম (Nandigram) দিবস পালন করে তৃণমূল।তবে এবছর আবারও সেই দিবস পালন নিয়ে শুরু হলো রাজনৈতিক তরজা।তৃণমূল না বিজেপি কে আগে শহীদ বেদীতে মাল্য দেবে তা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
এদিন শহিদ বেদীতে মাল্যদান করার পর শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতাকে হুঁশিয়ারি দেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, ‘ঠিক সিপিএমের মতোই বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর রাজনীতি করছেন।আগে সিপিএম সকলকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে একের পর এক। সেই রাজনীতি আবার ফিরছে। বেইমান, গদ্দার শুভেন্দু সিবিআই, এনআইএ দেখিয়ে নিরাপরাধ তৃণমূল কর্মীদের, নিরাপরাধ নন্দীগ্রামবাসীকে জেলে ভরছে। ভগবান, আল্লাহ থাকলে একদিন কলার ধরে শুভেন্দুকে জেলে ভরব।’
কুনাল ঘোষ আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তারি এড়াতে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।নন্দীগ্রামে শহিদদের রক্ত দিয়ে কেরিয়ার গড়েছেন শুভেন্দু। তাই তাঁর শ্রদ্ধা জানানোর কোনও অধিকার নেই।’
তবে থেমে থাকার পাত্র নয় গেরুয়া শিবিরও। এদিন মঞ্চ থেকে এই নাম না করে কুনাল ঘোষকে পাল্টা নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এদিন বলেন, “যাঁদের দেখছেন তাঁরা হালি নেতা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই।”
প্রসঙ্গত,সালটা ২০০৭। ক্যালেন্ডারে জানুয়ারির ৭ তারিখ। নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হলেন বেশ কিছু মানুষ। তারপর থেকেই প্রতিবছর এই দিনটিকে শহিদ স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও আগে এই দায়িত্ব ছিল শুভেন্দু অধিকারী কাঁধে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল পরিবর্তন করেন তিনি। তারপর থেকেই এই দিনটি পালনের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় কুণাল ঘোষকে। অন্যদিকে এই দিনটি আলাদা ভাবে পালন করেন শুভেন্দু।
আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:দিদির রক্ষাকবচ তৃণমূল নেতাদেরই লাগবে!কটাক্ষ দিলীপের