এবার আবাস দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে দিদির সুরক্ষা কবচকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।তার মতে,এবার নাকি রক্ষাকবচ তৃণমূল নেতাদেরই দরকার।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ এবং ‘দিদির দূত’ এই দুটি কর্মসূচি বর্তমানে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলীয় নেতারা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।তবে বিরোধীরা এই কর্মসূচিকে সমানে কটাক্ষ করে চলেছেন।সেই তালিকায় যুক্ত হলেন এবার দিলীপ ঘোষ।
শনিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে যান বিজেপি নেতা।সেখান আবাস দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় দলের ভুরিভুরি অভিযোগ খতিয়ে দেখার সঙ্গে দিদির সুরক্ষা কবচকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘দিল্লির দূত এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। ব্যাংক, বিডিও অফিসেও পৌঁছে যাচ্ছে। রাজ্যবাসী শীতে কাঁপছে। তৃণমূল নেতারা সিবিআইয়ের ভয়ে কাঁপছে। দিদির সুরক্ষা কবচ তৃণমূল নেতাদেরই লাগবে।’
পাশাপাশি রাজ্যে ঘটে চলা আরো একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ বাবু।শহীদ দিবস নিয়ে তরজা সম্পর্কে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যারা শহীদ হলেন, তাদের কথা ভুলে গিয়ে সবাই নিজেদের কথা ভাবছে। শহীদ তো সারা বাংলায় আগে হয়েছে। এখনও হচ্ছে। কোনও একটা দিবস রাজনীতির ইস্যু হয়ে যায়। এটা আগেও হত এখনও হয়।’
পাশাপাশি বিজেপিকে সাপোর্ট করে সিপিএম, যে সিপিএম নন্দীগ্রামে মানুষ মেরেছিল, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের প্রক্ষিতে তিনি বলেন, ‘বিজেপির কারও সাপোর্ট লাগে না। সামাজিক সাপোর্টে বিজেপি এগোয়। ওনারা এতদূর এগোলেন কার সাপোর্ট নিয়ে? যাদের সাপোর্ট নিয়ে এলেন, তাদেরই খুন হতে হচ্ছে। পার্টির লোক পার্টির নেতার বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। হুমকি দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে গুলি চালাচ্ছে। এটা তৃণমূল কালচার। বিজেপি সারা দেশে আছে। বিজেপিকে সবাই চেনে-জানে।’
এছাড়াও লটারি থেকে সমবায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেনিফিসিয়ারি অনুব্রত-এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, ‘তৃণমূল আমলে সমস্ত ফার্স্ট প্রাইজ তাদের নেতারা পেয়েছে। সমবায় ব্যাঙ্ক গুলো আমরা নোট বন্দির সময় থেকেই দেখে আসছি, কোটি কোটি টাকা কীভাবে নেতাদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পার্টির নেতারাই এই ব্যাঙ্কের ডাইরেক্টর। সমবায় ব্যাঙ্ক মানুষের যা না উপকার করেছে, তার থেকে নেতাদের বেশি উপকার করেছে। ১৭৭টা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এরাজ্যে সবটাই ভুয়ো ভাবে চলছে। অনুব্রতর পিছনে সিবিআই লেগেছে বলে সব জানা যাচ্ছে। এরকম বহু নেতা আছে, নিচ থেকে উপরে, তদন্ত হলে সবার নাম বেরোবে। হয়তো টাকার অঙ্ক কম বেশি হবে। ওরা সর্বজনীন দুর্নীতি করে দুর্নীতিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে।’
আরো পড়ুন:Kareena-Karishma: করিনা ও করিশ্মা কাপুরের অমানবিক ব্যবহারে সমালোচনার ঝড় উঠলো নেট দুনিয়ায়