পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের দুর্দশার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দু’বার এমন হামলার ঘটেছে!বুধবার সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে এমনই কথা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।বুধবার ‘সাগর থেকে পাহাড়’ প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ পৌঁছেছিল মাধ্যমগ্রামে।মাধ্যমগ্রাম সুভাষ ময়দান থেকে যখন কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হচ্ছিল তখনই ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে’ হামলার প্রসঙ্গ উঠে আসে অধীরের মুখে।

তিনি বলেন,-“অন্যায় হয়েছে।রেল মানুষের সম্পত্তি। রেল চালাতে পয়সা লাগে, এরকম হামলা হলে রাজ্যের পক্ষে অপমানকর।এটা আমাদের দেশের সম্পত্তি।এটা যদি হঠাত্‍ করে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হবে।আমরা এই ঘটনার নিন্দা করছি।যারা করছে তাদের চিহ্নিত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শাস্তি দিক এটাই আমরা চাই।পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসকের যে দুরবস্থা এটাই তার প্রমাণ।”পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ‘তৃণমূল ধ্বংসাত্মক রাজনীতি’ না করা নিয়ে,অধীর কটাক্ষর সুরে বলেন,-“মমতা ব্যানার্জি যদি বলে থাকেন তারা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করেনি তাহলে এর থেকে অবাক হওয়ার কিছু নেই।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে হাতিয়ার করেই টিকে থাকতে পছন্দ করেন।রাজনীতি আর তৃণমূল এটা এখন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

অন‍্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ার প্রসঙ্গে অধীর বলেন,-“ভালোই তো!আবাস যোজনা প্রকল্পে যে লুট, দুর্নীতি হয়েছে তা সকলেই দেখেছে।শুধু আবাস যোজনা প্রকল্পই নয় পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত প্রকল্পেই লুট, দুর্নীতি হয়েছে।এখন লুটের রাজ্য হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।তার থেকে বাদ যাচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগও।”মূলত,গ্রামোন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ টাকার অর্ধেকই রাজ্য সরকার খরচ করতে পারেনি এখনও।সেই প্রসঙ্গে উঠে আসে কংগ্রেস সভাপতির মুখে।বলেন,-“এখানে টাকা খরচ হয় না।অথচ, চুরি হয়।এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা।”

 

আরো পড়ুন:TMC:মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক টিটাগরে