তিনবছর ধরে কার্যত বন্ধ ছিল বারাসতের ঐতিহ্যবাহী ‘যাত্রা উৎসব’।করোনা আবহ কাটিয়ে আবারও মহা সমারোহে শুরু হতে চলেছে এই উৎসব।আর সেই উৎসবের আগে মঙ্গলবার দুপুরে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজন করা হয় জেলাশাসকের কার্যালয়ে।সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriyo Mullick)। এছাড়াও ছিলেন স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার,বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ,বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী,হাজি নুরুল ইসলাম,জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল।
অন্যদিকে তেমনই উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী,বারাসত সদরের মহকুমাশাসক সোমা সাউ সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারাও।এদিনের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,আগামী ২৪ জানুয়ারি যাত্রা উৎসবের সূচনা হবে বারাসত কাছারি ময়দানে।চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।’যাত্রা উৎসব’ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন যেমন সহযোগিতা করবে।তেমনই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম এই দুই পৌরসভাও।এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে।এজন্য স্থানীয় দুই পৌরসভাকে বিশেষ দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
মূলত,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছর এই উৎসবে হাজির থাকলেও,প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এবছর তিনি হাজির থাকবেন না।তাই মুখ্যমন্ত্রীর বদলে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী কিংবা সমাজের বিশিষ্ট কোনও ব্যাক্তির হাত ধরে উদ্ধোধন হবে এবার ‘যাত্রা উৎসব’-এর।
এদিনের এই বৈঠক শেষে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী এবছর আমাদের ওপরই দায়িত্ব দিয়েছেন যাত্রা উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে।সেই মতো আমরা যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে চলেছি।এবছর আমরা যাত্রা উৎসবের মঞ্চ থেকে দুস্থ মানুষদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেব।তাতে উপকৃত হবেন বারাসত-১ এবং ২ নম্বর ব্লকের অসংখ্য মানুষ”।এদিন তিনি আরো জানান,-বারাসতে দু’দিন যাত্রা উৎসব চললেও,রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে এই উৎসব আরও একমাস ধরে চলবে।
আরো পড়ুন:Sumitra Sen Death : ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকা সুমিত্রা সেন