ফের রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও প্রাতঃভ্রমনে যান দিলীপ ঘোষ।সেখানে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বিজেপি নেতা বলেন,-“রাজ্যের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা ভাল কথা।এটা আগে করা হলে রাজ্যকে বদনাম হতে হত না।কেউ সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।এরা টাকা তুলে (তৃণমূল) পার্টিকে দেয়।হয়তো সিবিআই তদন্তের কথা রয়েছে, তাই এদের তল্লাশি করা হচ্ছে।”
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন,-“পুলিশের যে কাজ করার কথা ছিল সেটা এখন সিবিআই করছে।পুলিশ এখন অপরাধীদের রক্ষাকর্তার ভূমিকায়।মানুষের মধ্যে কী প্রভাব হবে?”এদিকে আবার এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি।বলেন,-“নজরুল মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়ে সংগঠন শক্ত হয় না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে দেখেছেন জঙ্গলমহলের কী অবস্থা।মানুষ চোখে চোখ রেখে কী পাননি বলেছেন।এবার কর্মীরা গেলে তাঁদের কলার ধরবে না মানুষ?গিয়ে দেখুক এবার।”সম্প্রতি ডেবরার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে।সেই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবু বলেন,-“কীসের জন্য তুলতেন তিনি আমি জানি না।আমাদের একজন মণ্ডল সভাপতি কী দিতে পারেন মানুষকে।এখন তৃণমূল এটাই শুরু করেছে।চাকরি চুরির তালিকায় পাশ করাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিজেপি আছে সেটা দেখানোর জন্য।এটা তো তৈরি হয় বিডিও অফিস থেকে।তাহলে?এভাবে হাওয়া তুলে কোনও লাভ নেই।”
গ্রুপ ডি’র চাকরি তালিকায় বিজেপির সাংসদ ঘনিষ্ঠের নাম থাকা প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন,-“সব পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে,কে যে নিয়েছে কে যে নেয়নি বলা মুশকিল।অনেকে আমাদের পার্টিতে চলে এসেছে।যার চাকরির দরকার সেই টাকা দিয়েছে।এনকোয়ারি হওয়া দরকার।এসপার ওস্পার না হলে আবার শুরু হয়ে যাবে।”
আরো পড়ুন:Barasat:সাংসদের নির্দেশে মনিষীদের আবক্ষ মূর্তির ধুলোর আস্তরন পরিষ্কার