এবার অভিমানে তৃণমূল দল ছাড়লেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ট নেতা বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha)।সেই সঙ্গে তৃণমূলের টিকিটে জেতা বীরভূমের জেলা পরিষদের সদস্য পদও ছেড়ে দিয়েছিন তিনি।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝা।

দলীয় সূত্রে খবর,বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বিপ্লববাবুকে।সেই আক্ষেপেই তিনি দলত্যাগ করলেন বলে দাবি বিপ্লববাবুর।

এদিন দল ছাড়ার কারণ হিসেবে বিপ্লব বাবু জানান, “২০০৯ সাল থেকে এতদিন তৃণমূল করেছি। আজ আমি এলাকার মানুষজনকে জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্কে ত্যাগ করছি। ২০০৯ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। সেইসময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলাম। পরবর্তীতে এলাকার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলো দখল করার চেষ্টা করি। তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। দল আমাকে সম্মানও দিয়েছে”।

অভিমানী বিপ্লব বাবু আরও বলেন, “২০১৩ সালে যে উপনির্বাচন হয় সেখানে আমাকে প্রার্থী করা হয়। সেই ভোটে আমি হেরে যাই। এরপরে আমি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হই। এর পরেও আমি লক্ষ্য করে দেখছি, গত একবছর তৃণমূলের কাছে আমার কোনও মূল্য নেই। দলের মিটিং, মিছিলে আমাকে ডাকা হয় না। আমার অনুগামীরা এটা লক্ষ্য রাখছিল। স্বভাবতই আমি তার কোনও উত্তর দিতে পারছিলাম না। তাই দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

বিপ্লব ওঝার ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘পদত্যাগের বিষয় এখনও দলকে কিছু জানাননি বিপ্লববাবু।তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।পদত্যাগপত্র দিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে আলোচনা করা হবে।’আবার এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান,’এটা নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।জেলা নেতৃত্ব বলতে পারবে।প্রবীণরা সম্মান পাচ্ছেন।জেলায় জেলায় পুরনোদের সম্মান দেওয়া হয়েছে।’

 

আরো পড়ুন:Primary Teacher Recruitment:শুরু হলো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ