বাবর যাই বলুন না কেন, তা কিন্তু আর গৃহীত হবে না। কোনও অজুহাত দিয়েই এই হারের ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারছেন না পাক সমর্থকরা। ফলে বাবরের উপর যে চাপ বাড়ছে, তা বলেই দেওয়া যায়।

লজ্জার মুহূর্ত বললে কমই বলা হয়। গত দু’বছরে যে টিমকে ঘিরে শুরু হয়েছিল নতুন করে স্বপ্ন দেখা, যে টিম সাফল্যও পেতে শুরু করেছিল, সেই তারাই কিনা ঘরের মাঠে লজ্জার হার স্বীকার করল। দেশের ৭৫ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এতদিন কোনও বিদেশি টিমের কাছে ০-৩ হারতে হয় পাকিস্তানকে(Pak vs Eng Test Series)। বাবর আজমরা সেই রেকর্ডও ভেঙে ফেললেন। ইংল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে প্রথম দুটো টেস্টে হারের পর চাপ তৈরি হয়েছিল, সন্দেহ নেই। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়াও ছিল টিম। কিন্তু করাচিতেও ছবিটা বদলাবে না, তা বুঝতে পারেনি গ্রিন আর্মির সমর্থকরা। সেই সঙ্গে ফিরে এল পাক ক্রিকেটের বরাবরের চেনা ছবিটা। ঘরের মাঠে বেন স্টোকসের টিমের কাছে ওয়াইটওয়াশ হওয়ার পর নেতা বাবরকে সরানোর দাবি তুলে দিয়েছেন প্রাক্তনরা। তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছে রামিড রাজার বোর্ডও। এমনিতেই রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের সময় পিচ নিয়ে চরম সামালোচনার মুখে পড়েছিল পিসিবি। সিরিজে চরম ভরাডুবির পর চাপ আরও বাড়ল।

শুরু থেকে ব্যাটিং ভরাডুবি চলছে পাকিস্তানে(Pak vs Eng Test Series)। বাবরের টিম তৃতীয় টেস্টে এসেও নিজেদের ছন্দ খুঁজে পায়নি। প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় টিম। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২১৬ রানে শেষ। বাবর দুই ইনিংসে রান পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু টিমের বাকিরা ভরসা দিতে পারেননি। ম্য়াচ জেতার জন্য ১৬৭ রানের টার্গেট ছিল ইংল্যান্ডের সামনে। তখনই বোঝা গিয়েছিল, করাচিতে স্টোকসদের জেতা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ৮ উইকেটে জিতে যায় ইংল্যান্ড।

একটা প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই উঠছে, নেতৃত্ব কি চাপ হয়ে যাচ্ছে বাবরের জন্য? সেই প্রশ্ন তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, এই রকম কোনও চাপ আমি অনুভব করছি। চাপের মুহূর্তে আমি ব্যাটিং করা উপভোগ করি। ব্যাটিং বা নেতৃত্ব কোনওটাই একে অপরের কাছে চাপের জায়গা তৈরি করছে না। নেতৃত্ব সব সময় একটা সম্মান। দেশের হয়ে যখনই খেলতে নামি না কেন, সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করি। আর এই সিরিজ হারের পর আমি নেতা হিসেবে টিমের পাশেই দাঁড়াব। এটা আমার দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও এমন যদি ঘটে, আমি আবার সামনে এসে দাঁড়াব’।

 

Image source – Google