ফিফা বিশ্বকাপের(FIFA World Cup 2022) ফাইনালে আর্জেন্তিনার মুখোমুখি হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বুধবার কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে মরক্কোর স্বপ্নের দৌড় দিদিয়ের দেশঁর প্রশিক্ষণাধীন দল থামিয়ে দিল ২-০ গোলে জয় নিশ্চিত করে। এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ফ্রান্স। ১৯৬২ সালে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়েছিল ব্রাজিল। সেই নজির ফ্রান্স ছুঁতে পারবে কিনা স্পষ্ট হবে রবিবারই।
অসুস্থতার কারণে আদ্রিয়েঁ রাবিওকে এই ম্যাচে পায়নি ফ্রান্স। তাঁর পরিবর্তে ইউসুফ ফোফানাকে নামান দেশঁ। আরেক অসুস্থ ফুটবলার দায়োত উপামেকানোর খেলা নিয়েও সংশয় ছিল। ফরাসি কোচ তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখলেও বেঞ্চে রেখেছিলেন। শুরু থেকে খেলান ইব্রাহিমা কোনাতেকে। ম্যাচের ৫ মিনিটে থিও হার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপের দুটি প্রয়াস প্রতিহত হলেও ফিরতি বল থেকে দুরন্ত ফিনিশে মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বোনোকে পরাস্ত করেন ফ্রান্সের ফুল-ব্যাক থিও। চলতি বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের কোনও ফুটবলার এই প্রথম মরক্কোর জালে বল জড়ালেন। সেমিফাইনালের আগে অবধি গ্রুপ পর্বে কানাডার বিরুদ্ধে একটি গোল হজম করেছিল মরক্কো, যদিও সেটা ছিল নায়েফ আগুয়ের্ডের আত্মঘাতী গোল।
৭৯ মিনিটে দেম্বেলের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করে ফ্রান্সের ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করেন রঁদাল কোলো মুয়ানি। এমবাপে দারুণভাবে আক্রমণ তুলে এনেছিলেন, যা থেকে মুয়ানি কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটি করেন। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও শেষ অবধি লড়াই চালায় মরক্কো। শেষ লগ্নে বার দুয়েক গোলের সুযোগ তৈরি হলেও তা লরিসকে পরাস্ত করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। হেরে গেলেও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে প্রশংসনীয় ফুটবল উপহার দিল মরক্কো।
১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে(FIFA World Cup 2022) পরপর দুবার ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পেলের দেশ। ১৯৫৮ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ব্রাজিল সুইডেনকেই ৫-২ গোলে পরাস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬২ সালে চিলি বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল ৩-১ গোলে পরাস্ত করে চেকোস্লোভাকিয়াকে। ফ্রান্স ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। ২০০৬ সালে রানার-আপ হয়েছিল। ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপেও(FIFA World Cup 2022) টানা ফাইনাল খেলেছিল ব্রাজিল। ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন হলেও ১৯৯৮ সালে হেরে গিয়েছিল ফ্রান্সের কাছেই। এদিন ফ্রান্সের জয়ের ফলে রবিবার মেসি-এমবাপে দ্বৈরথের সাক্ষী থাকবে ফুটবলবিশ্ব। দুই দেশই নামবে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে। আর্জেন্তিনা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়ন। ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে রানার-আপ হয়। শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলা মরক্কো।
Image source – Google