বেআইনি বিএড কলেজগুলিকে অনুমোদন দিতে মোটা টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।এবার এমনি তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি আধিকারিকরা।জানা গিয়েছে,ইডি জেরার মুখে পার্থ ঘনিষ্ঠ মানিক ভট্টাচার্য এমন তথ্য দিয়েছে।

এছাড়াও মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, অনুমোদনের জন্য বিএড কলেজপিছু ৬-৮ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।আর মানিকের পকেটে যেত ২-৫ লক্ষ টাকা।

মূলত তাপস মণ্ডলের বয়ানকে হাতিয়ার করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং কলেজের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন।

চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে।

উল্লেখ্য,বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং কলেজের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে প্রথমে শিক্ষা দফতরের এনওসি বা অনুমোদনের প্রয়োজন। ইডি-র দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই এনওসি পাইয়ে দিতেন। অন্যদিকে, এনসিটিই-র অনুমোদনের ব্যবস্থা করতেন মানিক। তারপর ওই কলেজগুলিকে নির্দিষ্ট কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েশনও পাইয়ে দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তে নেম ইডি-র গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই এনওসি সার্টিফিকেটের বদলে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ। মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

 

আরো পড়ুন:Saket Gokhale:তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র জামিন পাওয়ার পরেই ফের গ্রেফতার