কাঁথিতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার আগে ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) বিস্ফোরণ।আর বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ নিহত হন মোট ৩ জন।জানা যাচ্ছে,তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজ কুমার মান্নার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।এই ঘটনায় রাজ কুমার সহ তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামে এক প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন।
সূত্রের খবর,ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে এই বিস্ফোরণ হয়।রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
অভিযোগ, রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোম বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে রাজকুমারের বাড়ির ছাদ উড়ে যায়।বিস্ফোরনে মৃত্যু হয় তিনজনের।
তবে এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ,মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই বলেন,-“তৃণমূল নেতার বাড়ীতে বোম বাঁধতে গিয়ে বিপত্তি৷ তৃণমূল নেতা সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি আরও আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।”ভগবানপুরে বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন,-“রাতের অন্ধকারে বোম বাঁধতে এমনই ঘটনা।পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছে।দু’জনের মৃত্যু নয় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছি। পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”যদিও এই বিষয়ে ভুপতিনগর থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।একাধিক বার তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে জেলা নেতৃত্বকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি৷তাই কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷
বস্তুত,বিধানসভা নির্বাচনের থেকেই কার্যত উত্তপ্ত ছিল ভূপতিনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা।রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি ও গুলির শব্দ প্রায় দিনই শোনা যায়।সাম্প্রতিক কয়েকদিন আগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।রাতের অন্ধকারে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।এলাকায় উত্তেজনা থাকায় রীতিমতন এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
এদিকে আবার জানা যায়,কাঁথিতে অভিষেকের সভার আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল।নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সামসুল ইসলামের দাবি,বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায়।হামলাকারীদের গ্রামবাসীরা আটক করে।পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।