রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ (SSC) দুর্নীতি মামলায়, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ অভিযুক্তকে আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ।
সোমবার আলিপুর আদালতে জামিনের আবেদন করলেও আদালত তাদের সকলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ ডিসেম্বর।
এদিন আলিপুর আদালতে সমস্ত অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা পার্থকে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ‘পরিকল্পক’ এবং ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।সোমবার আলিপুর কোর্টের বিচারক
রানা দাম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সিবিআই বারবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃতদের ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলে অভিহিত করেছে।
সোমবারও তারা জামিনের প্রতিবাদে এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই আইনজীবী আদালতের প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেন।
পার্থের আইনজীবী সেলিম রেহমান প্রশ্ন তোলেন যে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর-এ তার মক্কেলের নাম ছিল না।
তাই তাকে জামিন দেওয়া উচিত্। অন্যদিকে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অভিহিত করেছে সিবিআই।
এই প্রেক্ষাপটে পার্থের আইনজীবীর প্রশ্ন, তদন্তের নামে তাঁর মক্কেলকে আর কতদিন আটকে রাখতে হবে? সিবিআই তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেও দাবী করেন তিনি।
আইনজীবীর কথায়, “কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো সব ঠিকঠাক করছে না।”
মধ্যশিক্ষা পরিষদের (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী তার মক্কেলের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন।
কল্যাণময় যুক্তি দেন যে, এফআইআর-এর মাত্র একটি অনুচ্ছেদে তার নাম রয়েছে।
বয়সজনিত অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি যেকোনও শর্তে জামিন চেয়েছিলেন। বলেন, আমি এসএসসির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।