ফের নাগরিকত্ব (Citizenship) ইস্যু নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।বুধবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠান থেকে দাবি করলেন ‘ভাঁওতা’ দিচ্ছে কেন্দ্র।ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রেও আমজনতাকে সতর্ক করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান,কেন্দ্র নতুন করে নাগরিকত্বের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।তাই ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ও পরিবারের নাম সংশোধন করে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে।৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলবে।সকলকে সশরীরে গিয়ে ভোটার তালিকায় নিজের এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের নাম দেখে আসার তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।এনআরসির নাম করে ভবিষ্যতে তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।অসমেও একই ভাবে মানুষের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
বাংলাদেশ থেকে সব কিছু হারিয়ে কত মানুষ এখানে এসেছেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদের নিয়ে তো সরকারের চুক্তি রয়েছে। তিনি ভারতেরই নাগরিক। তবে কখনও কখনও ভাঁওতা দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, আপনি নাগরিক নন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “যারা ভোট দিচ্ছেন, প্রত্যেকে নাগরিক। নাহলে কারও সন্তান স্কুলে ভরতি হতে পারত না। কেউ চাকরি পেতেন না। যাদের ভোটে আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের এরপর নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা মানে অপমান করা।”
এরপরই ভোটাদের সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”যাতে এনআরসির নাম করে আপনাদের নাম কোথাও কেউ কেটে না দিতে পারে, তাই এখন থেকে নিজে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের নাম তুলে আসবেন। দেখে আসবেন নামটা আছে কি না। বাংলার সমস্ত মানুষকে বলছি, নিজেরা নিজেদের স্বার্থে নিজেদের নাম তুলুন। একটু কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কাজ সেরে আসুন। না হলে কাল বলে দেবে, আপনার নাগরিক অধিকার নেই।” ভোটার তালিকায় নামের বানান, স্বামী-স্ত্রীর নাম ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। না হলে অসমের মতো পরিস্থিতি বাংলাতেও হতে পারে বলে আশঙ্কা মমতার।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। প্রত্যেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন- আশ্বাস মমতার।
আরও পড়ুন:Dilip Ghosh:মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধি নিয়ে বিস্ফোরক মূলক মন্তব্য করলেন দিলীপ