বহুদিন ধরে অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) ইডি সিবিআই তলব করলেও,সেই ডাকে সারা দেয়নি সুকন্যা।অবশেষে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে তিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ হয় তার।আর সেই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই আরো বিপাকে পড়ল অনুব্রত মণ্ডল।

দিল্লিতে ইডি দফতরের গরু পাচার নিয়ে জেরার মুখে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মন্ডল বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।ইডি সূত্রের খবর সুকন্যা তার নিজের হাতে বয়ান লিখেছেন ,জিজ্ঞেসাবাদের পুরোপর্বের ভিডিও করা হয়েছে।ইডি জানিয়েছেন সুকন্যার বয়ান অনুযায়ী তার একাউন্টে টাকা জমার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।সব কিছু করেছে তার হিসাব রক্ষক।আর তার সেই বয়ানকে হাতিয়ার করেই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের পথে এগোচ্ছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সুকন্যা প্রথম দিকে ওই সব লেনদেন ও সম্পত্তির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, তিনি সব জানেন, অথচ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তার পরেই সুকন্যার নামে থাকা বিভিন্ন সংস্থা, সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক আমানতের একের পর এক নথি তুলে ধরে তাঁকে প্রশ্ন করা হতে থাকে। সেই সব নথিতে সুকন্যার সই রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই সব বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানান সুকন্যা।

ইডি জানাচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পাশে বসে থাকা হিসাবরক্ষককে দেখিয়ে সুকন্যা তদন্তকারীদের বলেন, ‘সমস্ত রকম নথিপত্র ইনি নিয়ে আসতেন। বাবার নির্দেশ অনুযায়ী সব নথিপত্রে আমি শুধু সই করেছি। এর চেয়ে বেশি আমি সত্যিই কিছু জানি না।’ তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, যিনি সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতেন, তাঁকে দেখিয়ে কেষ্ট-কন্যা বলেন, ‘উনি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতেন। কিন্তু আমার সঙ্গে টাকার বিষয়ে কোনও দিন কোনও আলোচনা করা হত না।’

উল্লেখ্য,বর্তমানে আসানসোল জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।সেক্ষেত্রে এই সপ্তাহের মধ্যেই ইডির আধিকারিকরা সুকন্যা মণ্ডলের লিখিত বয়ানের ওপরে নির্ভর করে অনুব্রত মণ্ডলকে দেরা করতে পারেন।তার জন্য ইডির তরফে আদালতে অনুমতি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে।

 

আরো পড়ুন:Sukanya Mondal:বৃহস্পতিবারও ইডির দপ্তরে হাজিরা দিলেন সুকন্যা!