এবার আরো বিপাকে পড়ল বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।আজ শুধু ইডি নয়,অনুব্রতর চাপ আরো দ্বিগুণ বাড়লো সিবিআইও।একদিকে যেমন দিল্লিতে আজই ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল।তাকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীর পাশে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অন্যদিকে তেমনি আবার আজই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব করেছে সিবিআই।অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটারকেও আজ তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।অর্থাৎ বলা বাহুল্য,আজ অনুব্রতর চাপ দ্বিগুণ বাড়তে চলেছে।
মূলত,বহুদিন ধরে অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মরিয়া ছিল সিবিআই,ইডি।তবে তাকে তলব করা হলেও কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে হাজেরা এড়িয়ে গেছেন তিনি।কিন্তু অবশেষে গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে গিয়ে আজ ইডির মুখোমুখি হলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল।সুকন্যা যে দিল্লিতে ইডি দফতরে আজ হাজিরা দিতে পারেন,আগে থেকেই সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।সেই মতো আজ সকাল দশটার কিছু পরে দিল্লিতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় সুকন্যাকে।
জানা যায়,এই মুহূর্তে দিল্লিতে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।ইডি সূত্রে খবর, প্রথমে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়গলের সামনে বসিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, আবার আজই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব করেছে সিবিআই।উল্লেখ্য, মলয় এখন বীরভূমের বড় ব্যবসায়ী হিসাবে নাম করেছেন।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত এক দশকে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে বহু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। অন্য ব্যবসাতেও নাগাড়ে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর অধীনে অন্তত কয়েকশো স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিএড কলেজ, পিটিটিআই প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইনস্টিটিউট, আইআইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্টারন্যাশনাল স্কুল রয়েছে। এমনকি রাজ্যের বাইরেও ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ছড়িয়ে মলয়ের শিক্ষা ব্যবসার সাম্র্রাজ্য। আর এই সব কিছুই মলয়ের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ ছাড়াও দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান মলয়। একটির নাম ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’। অন্যটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। এই ট্রাস্টের নামেও বহু বার হয়েছে টাকার আদান-প্রদান। সিবিআই জানিয়েছে, মলয়ের মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন অনুব্রত। সিবিআই মলয়ের কাছে এর আগে জানতে চেয়েছিল মেডিক্যাল কলেজের জন্য এত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন তিনি? বুধবার মলয়কে কেন ডাকা হয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও অনুমান, গরু পাচারের মামলার তদন্তেই ডাকা হয়েছে তাঁকে। পাচারের টাকা কোনও ভাবে মলয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল কিনা, গরু পাচার-কাণ্ডে তাঁর যোগ রয়েছে কি না, সে সব জানতে চাইতে পারে সিবিআই।
বুধবার অবশ্য মলয় ছাড়াও বোলপুরের অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার অতনু মজুমদারকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।অনুমান তাঁকেও গরু পাচার মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরো পড়ুন:Anubrata Mondal:গরু পাচার মামলায় ২রা নভেম্বর ইডির দপ্তরে হাজিরা দেবেন অনুব্রত কন্যা!