প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশকে পায়ে ধরিয়ে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।যা নিয়ে গর্জে উঠেছিল রাজনৈতিক মহল।নিজের দলের অন্দরেও এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রমনের শিকার হতে হয়েছে তাকে।এবার প্রাক্তন সতীর্থের এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।

মদন মিত্র দাবি করলেন, শুভেন্দু যা বলছেন তার উল্টোটাও হতে পারে।মদনের মিত্রের কথায়, “যে হাতের আঙুল উঁচিয়ে কথা বলছে শুভেন্দু, সেই হাতে একদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে ধরতে হবে ওকে।”

এরপরই শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে মদন মিত্রের আরও বলেন, “আসলে ও গর্তে পড়ে গিয়েছে। ওর জন্য দুঃখ হয় আমার।গর্ত থেকে কী করে উঠবে, কে দড়ি ফেলবে, লোক পাচ্ছে না।না শ্বাস নিতে পারছে, না গর্ত থেকে বেরোতে পারছে, না উঠে দাঁড়াতে পারছে।এমন করেই যেতে হবে ওকে, যতক্ষণ না ডাক্তার ব্রেনডেড ঘোষণা করছে।কিছু করার নেই।”

বিষয়টি ঠিক কি ঘটেছিল?জানা যায়,পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস।সত্যব্রত শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুতাহাটার বর্ষীয়ান শিক্ষক ও তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী।সেই অভিযোগের তদন্তে সম্প্রতি সুতাহাটা থানার পুলিশ সত্যব্রত দাসকে গ্রেফতার করে।অভিযোগ, পুলিশ সত্যব্রতকে মারধর করেছে।

এরপরই এই বিষয় নিয়ে হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে পুলিশকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।চ্যালেঞ্জের সুরেই তিনি বলেন, ‘যে হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসকে চড় মেরেছেন।সেই দুটি হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসের পা ধরাতে যদি না পারি, তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়।’এবার তার সেই ভাষাকেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা।এবার শেষ পর্যন্ত এই বক্তব্যের জল কতদূর গোড়ায়,সেইদিকে চোখ সবার!

 

আরো পড়ুন:Suvendu : ‘ ডিসেম্বরে তৃণমূল সরকার ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যাবে’আক্রমণ শুভেন্দুর