এনসিসির আর্থিক বরাদ্দ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।মূলত,এনসিসির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম মিলিয়ে মোট ২৩৫টি ক্যাম্প করা হয়। দুটি রাজ্য মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ পড়ুয়া প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন সেখানে। এই শিবির করলে তবেই এনসিসির বিওসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তাই শিবির দেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে এনসিসির তরফে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের দাবি, একটু টাকার জন্য এতদিনের পরিশ্রমই বিফলে যাবে। ৩ কোটি টাকা দরকার, আর আগের বাকি থাকা টাকা ধরলে অঙ্কটা হবে ১০ কোটি। এই সার্টিফিকেট না পেলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এনসিসি।

এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পাশাপাশি বাংলার অর্থ সচিব এবং মুখ্য সচিবকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন এনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিজি (বাংলা ও সিকিম শাখা)।

এই অভিযোগ সামনে উঠে আসতেই বিরোধীদের তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে খেলা এবং মেলা করার জন্য বহু পরিমাণ টাকা খরচ করলেও এনসিসির বরাদ্দ কেন মেটানো হচ্ছে না, সে বিষয়ে সরকারকে ইতিমধ্যে খোঁচা দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই প্রসঙ্গে অবশেষে বুধবার মুখ খুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

অর্থমন্ত্রী জানান,রাজ্য টাকা বন্ধ করেনি,কেন্দ্র কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা দিচ্ছে না,সেটাতে নজর দেওয়া জরুরি।অক্টোবরেই মাসেই ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।পরবর্তী ফান্ডও দেওয়া হবে।অতএব অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

তাঁর আরও দাবি,সেনার তরফ থেকে রাজ্যের বরাদ্দ করা অর্থের হিসেব রাজ্যকে দেওয়া হয়নি।এই হিসেব রাজ্যকে পাঠালেই বরাদ্দ দেওয়া হবে।মন্ত্রীর কথায়, যাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরও একটা হিসেব দিতে হয়।হিসেব দিলে সেই মতো সমস্ত টাকাই দিয়ে দেওয়া হবে।