বুধবার বিকেলে ইকো পার্কে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান।হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।তার আগেই এদিন সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজয়া সম্মিলনী সেরে নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।এদিন তাঁর নেতৃত্বেই পার্কের ভিতরে আয়োজন করা হয় চেয়ার, টেবিলের।প্রাতঃভ্রমণে আসা অন্যান্যদের ডেকে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সারেন দিলীপ ঘোষ।মেনুতে ছিল দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। সেখান থেকেই রাজ্যের আয়োজন করা বিজয়া সম্মিলনীকে কটাক্ষ করেন তিনি।
তিনি বলেন,-“শুধু লোক দেখানোর জন্য যদি করা হয় তাহলে ঠিকই আছে।লোক দেখবে, মিডিয়া দেখবে।কিন্তু সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেখানে সম্পর্ক নেই , সম্মান নেই সেই ধরনের কোন অনুষ্ঠানে কোন লাভ হয় না।মানুষ তাতে নিজেদেরকে উপেক্ষিত মনে করেন।”
মূলত,মঙ্গলবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য।আবার মঙ্গলবারই সকাল ১১ টা নাগাদ কল্যাণী এইমস দুর্নীতি কাণ্ডে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানাকে তলব করে সিআইডি। মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার ফলেই কি সিআইডির তত্পরতা?এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখনই রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা কোন দুর্নীতিতে ধরা পড়েছেন, তাদেরকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে তখনই বিজেপিকে টার্গেট করা শুরু হয়ে গিয়েছে।বিজেপি দূর দূর পর্যন্ত এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।এই তদন্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে কোর্টের নির্দেশে।আদালতের আদেশে সিবিআই-ইডি সক্রিয় হয়েছে।কিন্তু তাঁরা নিজেকে বাঁচাতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গিয়ে বিজেপির নেতা নেত্রীদেরকে টার্গেট করছে।”
৯ বছরে অনুব্রতর আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, “এগুলো তো দেখা যাচ্ছে। এরকম কত আছে যেগুলো দেখানো নেই। তাই কত গুণ বেড়েছে তা পরে জানা যাবে।” এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিশ পাওয়া নিয়ে দিলিপবাবু মন্তব্য করেন, “শুধু মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে নয়, বাড়ির লোক, কর্মচারি, সবাই যুক্ত দুর্নীতিতে। এই টাকা আসলে লুকিয়ে রাখা টাকা। আরও তদন্ত এগোলে এরকম আরও হদিশ মিলবে।”
আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বাড়িতেই পুজো কাটানোর কথা বললেন এবার দিলীপ ঘোষ!