৩০০ কোটির ঘুষ কাণ্ডে (Kashmir) জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের আধিকারিকরা।
এর আগে সত্যপাল মালিক অভিযোগ করেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের
রাজ্যপাল থাকাকালীন দুটি ফাইলকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৩ অগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল পদে ছিলেন সত্যপাল মালিক।
তিনি রাজ্যপাল থাকাকালীন জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল। পরে ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে সরিয়ে সত্যপাল মালিককে ২০১৯ সালে গোয়ার রাজ্যপাল করা হয়েছিল।
এরপর ২০২০ সালে তাঁকে মেঘালয়ের রাজ্যপাল করা হয়েছিল। গত ৩
অক্টোবর মেঘালয় রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল।
এর আগে সত্যপাল মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত এপ্রিল মাসে ঘুষকাণ্ডে সিবিআই পৃথক দুটি এফআইআর রুজু করেছিল।
সত্যপাল মালিকের অভিযোগ ছিল, সরকারি কর্মীদের গ্রুপ ইনস্যুরেন্স এবং ২২০০ কোটি টাকা মূল্যের কিরু জলবিদ্যুত্কেন্দ্রের কাজের বরাত
সংক্রান্ত দুটি ফাইলে অনুমোদন দিতে ৩০০ কোটি টাকার প্রোলোভন দেখানো হয়েছিল তাঁকে।
গত বছর ১৭ অক্টোবর রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন এই অভিযোগ করেছিলেন সত্যপাল মালিক।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যখন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলাম, তখন দুটি ফাইল এসেছিল আমার কাছে।
একজন সচিব আমাকে বলেছিলেন যে আমি যদি এগুলো অনুমোদন করি তাহলে প্রতিটি ফাইলের জন্য আমাকে ১৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
আমি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি কাশ্মীরে পাঁচটি কুর্তা পায়জামা নিয়ে এসেছি। সেগুলি নিয়েই বার ফিরে যাব।’