একজন মানুষ মারা গেলে, তার মৃত্যুর কারণ জানার থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা খুঁজে বের করে এর পিছুনে কোন দল জড়িত।তবে এইসব কিছুর উর্ধ্বে দাড়ালো এবার হুগলীর জাঙ্গিপাড়া (Jangipara)।শনিবারই হুগলির জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকায় জলাশয় থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়।যাকে ঘিরে রীতিমতো শোকের পাহাড় পরিবার পরিজনদের মধ্যে।

সূত্র মারফত জানা গেছে,-জাঙ্গিপাড়া শ্রীহট্ট এলাকায় দশমীর রাতে নিখোঁজ হয় বছর বারোর এক নাবালিকা। তিন দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি ঝিলে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।এরপরই অভিযোগ ওঠে,নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।এই ঘটনায় ওই কিশোরীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে।ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান পরিবার পরিজনেরা।

কিন্তু সেই মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয় রাজনীতি।রবিবার সাতসকালেই ওই এলাকায় হাজির হন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল।জানা যায়,এদিন ঘটনাস্থলে যায় উত্তরপাড়ার কাউন্সিলর কামাক্ষা সিং, রিষড়ার কাউন্সিলর জ্যোতি দাস সহ মোট ১২ জন কংগ্রেস নেতা।যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে যায় গ্রামবাসীরা।রীতিমতো তাদের তারা পর্যন্ত করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।কয়েকজন উত্তেজিত গ্রামবাসী চিত্‍কার করে বলেন,-“সারারাত জেগে প্রশাসন কাজ করেছে।পুলিশ তাদের কাজ করবে।আর এরা এখানে রাজনীতি করতে এসেছে।এখান থেকে চলে যান।বাড়ি ফিরে যান।”

এই ঘটনায় বেশ চাপে পড়ে যায় কংগ্রেস নেতারা।তারা পাল্টা সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন,এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত আছে।তবে এদিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে না পারলেও এলাকায় পৌঁছাতে সক্ষম হয় বিজেপির প্রতিনিধি দল।জানা যায়,এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দলও ওই এলাকায় যায়।তবে প্রথমে কংগ্রেসের মতো নাকি এলাকাবাসীদের কাছে তাদেরও বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়।যদিও এরপরেই প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে জাঙ্গিপাড়ায় পৌঁছয় বিজেপি প্রতিনিধি দল।এরপর নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।এবং নির্যাতিতার পরিবারকে সবরকম আইনি সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

 

আরো পড়ুন:ED:তদন্তের গতিবেগ বাড়াতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চাই ইডি!