দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় ক্রেনে করে নিরঞ্জনের পরে প্রতিমা তুলে ফেলার সময় যে দৃশ্য দূষণ হয়, তা এবার বন্ধ করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।তাই পরের বছর কি করলে তা রোধ করা যাবে, তা এইবছরই জানিয়ে দিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
তিনি জানিয়েছেন, “আগামী বছর থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বেশি করে ভাসান কুলি নেওয়া হবে। তারাই প্রতিমার কাঠামো দ্রুত জল থেকে তুলে নেবেন। তারা সেটিকে পাড়ে তুলে দেবেন। সেখান থেকে পুরসভার কর্মীরা প্রতিমার কাঠামো তুলে নেবে।যে কাঠামোকে পুজো করা হল, সেই কাঠামোকে যে ভাবে তুলে ফেলা হয় তা অনেকের আবেগেও দুঃখ দেয়। এছাড়া ক্রেনে করে তুলতে যে সময়টা লাগে, তার অনেক আগেই ভাসান কুলিরা এই প্রতিমা তুলে নিতে পারবেন। তাই গঙ্গার জলের দূষণ ও দৃশ্য দূষণ রুখতে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মূলত,৪ দিনের উত্সব শেষে গতকাল ছিল বিজয়া দশমী।আর রাত জেগে ঠাকুর দেখার আনন্দ-উচ্ছ্বাস নয়, ছিল বিষাদের সুর।বেলা বাড়তেই কলকাতা (Kolkata) ও হাওড়ায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।কলকাতায় গঙ্গার সবক’টি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে।
জানা গেছে,এই তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে। বাজা কদমতলা ঘাটে গঙ্গার জলে ভাসমান বার্জের উপর একটি ক্রেন থাকবে এবং পাড়েও একটি ক্রেন থাকবে। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লেই সেই ক্রেন দিয়ে কাঠামো টেনে তোলা হবে।আর মেয়রের এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত।
আরো পড়ুন:Durga Puja:দশমীর দিন ঢাকের তালে নাচলেন কল্যাণ-প্রবীর!