রাতের অন্ধকারে বামেদের (CPIM) বুক স্টলে চালানো হয়েছিল হামলা।আর তার প্রতিবাদে সোমবার রাসবিহারীর প্রতাপাদিত্য রোডে সভার আয়োজন করেছিল বামেরা।কিন্তু অভিযোগ স্টলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পরিবর্তে প্রতিবাদ সভাকেই ভণ্ডুলে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, বাম নেতা বিকাশ রঞ্জনের সাথে আরো একাধিক বাম নেতা,এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ একাধিকজনকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে।

লিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অশান্তি এড়াতেই এই গ্রেফতারি।ঠিক কি ঘটেছিল।সূত্র মারফত খবর,রাসবিহারীর প্রতাপাদিত্য রোডে সিপিএমের বিপণিতে সপ্তমীর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, ওই বইয়ের বিপণিতে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’র পোস্টার দেখে আপত্তি তুলেছিল শাসকদল। এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও প্রতাপাদিত্য রোডের সংযোগস্থলে জমায়েত করে ফের বই বিপণি চালু করার ডাক দিয়েছিল সিপিএম।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমলেশ্বর, আইনজীবী তথা সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, রবীন দেব, সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা ঘিরে সোমবার আবার গোলমাল হয়। ঝামেলা এড়াতে গ্রেফতার করা হয় কমলেশ্বর, কল্লোল-সহ বেশ কয়েক জনকে।

এদিকে ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে কেন আটক করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লিখেছেন ‘নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।’এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “পুজো কমিটির অসুবিধা তো হতেই পারে। পুজোর ভিড়ের মধ্যে স্টল খুলতেই হবে কেন? পুজোর পরে রবিবার দেখে ওঁরা এ সব করতে পারেন। গোলমাল হচ্ছে দেখে পুলিশ প্রশাসনিক পদক্ষেপ করেছে।”

 

আরো পড়ুন:Mulayam Singh Yadav:অসুস্থ মুলায়ম সিং যাদব, খোঁজ নিলেন মোদি!