দুই হেভিওয়েট নেতা এখন (Jail) জেলে বন্দি। একজন প্রেসিডেন্সি জেলে। আর একজন আসানসোল সংশোধনাগারে।
তাঁরা দুর্গাপুজোর আগে জামিন পাননি। ফলে পুজো কাটাতে হচ্ছে জেলেই। তাঁরা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল।
ইতিমধ্যেই পার্থের কানে পৌঁছে গিয়েছে, তাঁর নেতৃত্বে যে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো হতো সেটা এবার বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পায়নি।
কেষ্টও এই প্রথমবার গ্রামের পুজোয় থাকতে পারলেন না। তাই তাঁরা দু’জনেই জেলের মধ্যেই দুর্গাপুজোর আনন্দ ভাগ করে নিলেন।
মহাষষ্ঠীতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে দুর্গা প্রতিমার সামনে ঢাক বাজালেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টানা ১০ মিনিট তিনি ঢাক বাজিয়েছেন।
বেশ কিছুক্ষণ মণ্ডপে ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ। সেখানেই ঢাক বাজিয়ে মাকে প্রণাম সেরে তাঁর সেলে চলে আসেন।
আসানসোল সংশোধনাগারে (Jail) এবার দুর্গাপুজো হচ্ছে না। কিন্তু মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সেলের ভিতরে তাঁরা মায়ের ছবির সামনে মা
মা বলে ধূপ দেখিয়ে আরতি করতে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল।
একইসঙ্গে তাঁকে নৃত্য করতেও দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে অন্য বন্দিদের তিনি বলেন, ‘যিনি মা দুর্গা, সেই তিনিই কালী। মায়ের মধ্যে কোনও ভেদ নেই। সবাই পুজোর আনন্দ উপভোগ করো। মা সবার মঙ্গল করবেন।’
আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের পুজোকে ঘিরে বেশ উজ্জীবিত দেখা যায় অপির্তা মুখোপাধ্যায়কে।
জেলের বাইরে থাকাকালীন মণ্ডপে মণ্ডপে পুজোর উদ্বোধন-সহ নানা অনুষ্ঠানে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এবার তিনি জেলবন্দি। সূত্রের খবর, পুজোয় জেলবন্দি থাকা নিয়ে আক্ষেপ করেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জেলের আবাসিকদের কাছে।
তবে জেলের খাবারের তালিকায় ছিল মুগের ডাল, লম্বা বেগুন ভাজা, চচ্চড়ি, মাছের ঝোল এবং চাটনি।