দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর জয়ের হাসি হেসেছিলেন ববিতা সরকার।সেই ববিতা সরকারকে দিয়েই এবার ষষ্ঠীতে শিলিগুড়ির এক দুর্গাপুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করাতে চাই উদ্যোক্তারা।কোনও নেতা-বা মন্ত্রী নয়,এবার শিলিগুড়ির মহিলা শক্তি সংগঠনের পুজোর উদ্বোধনে নারীশক্তির প্রতীক হিসেবে আমন্ত্রণ পেলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)।

চাকরি পাওয়ার পর এটাই প্রথম পুজো ববিতার, আনন্দটাও অনেক বেশি। তবে আন্দোলন আর আন্দোলনকারীদের চোখের জল ভোলেননি তিনি। ববিতা আমন্ত্রণ পাওয়ার পর বলেন, ‘টানা আন্দোলন করেছিলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আদালতেও গিয়েছি। আমার চাকরি আমি পেয়েছি। কিন্তু এখনও আমার সহযোদ্ধারা রাস্তায় আছেন। পুজোর ক’দিন তাঁদের জন্য মন খারাপ থাকবে। একটা পূজা কমিটি আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মহিলারা পুজো করছে। তাই না করতে পারিনি। তবে আমি সেলিব্রিটি নই। শুধু চাই, যাঁরা চাকরি পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, সেই যোগ্য প্রার্থীরা যেন চাকরি পান।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটাই প্রার্থনা করব, আন্দোলনকারীদের শক্তি দাও। ওদের চাকরি হোক। চোখের জল মুছে ওরাও স্কুলে শিক্ষকতায় যেন দ্রুত যোগ দিতে পারে।’

প্রসঙ্গত,২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল।পরীক্ষা দেওয়ার ৬ বছর পরে চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)।অভিযোগ রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীরর কন্যা ববিতা অধিকারী কার্যত প্রভাব খাটিয়ে ববিতাকে সরিয়ে মেধাতালিকায় ওপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছিলেন। চাকরি পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। চাকরি জোটেনি ববিতার। তবে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে আদালতের নির্দেশে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। চাকরি খোয়া গিয়েছিল মন্ত্রী কন্যার।তাঁর এই জয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দারাও। সেই প্রেক্ষিতে এবারের দুর্গাপুজোয় নারীশক্তিকে সম্মান দিতে শিলিগুড়ির ওই পুজো মণ্ডপ ববিতা দিয়েই পুজো উদ্বোধনের কথা ভেবেছে বলে জানা যাচ্ছে।

 

আরো পড়ুন:Supreme Court:১০ অক্টোবর পর্যন্ত রক্ষাকবজ পেলো মানিক!