পুজো মানেই আনন্দ উৎসব আর ঘোরাঘুরি। নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে চায় না । কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিনের নানা দূষণ ধুলোবালি ইত্যাদির কারণে , ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়াই স্বাভাবিক। পার্লারে যাবার সময় না থাকলে বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের ত্বকের যত্ন করুন আর ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনুন । নিয়ম করে এই পাঁচটি জিনিস পর পর ব্যবহার করবেন ।

 

গরমে মুখে তেল ও সিবামের উত্‍পাদন বেশি হয়, তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবাইকে। তাই দিনে দু’বার করে মুখ ধুতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত (Oily skin)হলে ফোম ভিত্তিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন যা মুখের তেল সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায়। জল ভিত্তিক ফেসওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনার শুষ্ক ত্বক থাকে তবে দিনে একবার ধুলেই যথেষ্ট।

 

টক টানটান এবং উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করুন কফি স্ক্রাব।প্রথমে আধা কাপ কফি গুঁড়া ও এককাপের এক চতুর্থাংশ বাদামি চিনি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটির সঙ্গে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল এবং ১ টেবিল-চামচ দারুচিনিগুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে হবে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীর থেকে বাড়তি তেল ও মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে।

 

প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল ও কেশর (Benefits Of Saffron) মিশ্রণ। টোনার ত্বকের মরা চামড়া ও অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করতে পারে। ২ টেবিল চামচ গোলাপজলে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তুলো ডুবিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন ত্বক। চাইলে এই টোনার ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন।

 

চট জলদি মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করুন এই ফেস মাস্কটি।হলুদের মুখের সবচেয়ে ভালো এবং সহজ মাস্কগুলির (face mask)মধ্যে একটি হল এক-আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো দুই থেকে তিন চা চামচ প্লেইন গ্রীক দই এবং এক ফোঁটা মধুর সাথে মিশিয়ে দেওয়া। এই উপাদানগুলিকে একত্রে একটি মসৃণ পেস্টে মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। আপনি এই মাস্কটি আধা ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।

 

এরপর মশ্চারাইজার হিসাবে আপনি যে কোন ক্রিম কিংবা ঘরে থাকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। মুখে আদ্রতা বজায় থাকা খুবই দরকার । তাই রোজ নিয়ম করে দিনে দুবার মশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন ।

Image source-google